মালদাঃ ১১ টি রথের কার্নিভাল। সোজা রথে সারি সারি রথ গুন্ডিচা মন্দিরে আসে। এমন রথ হয় মালদার গাজোল ব্লকের প্রয়াত দুলাল রায়ের বাড়িতে। এরপর ৯ দিন ধরে দুই বেলা মহা ভোজ ও জগন্নাথ দেবের পুজো পাট। জগন্নাথ দেবের বিদায় বেলায় কচু শাক সহকারে মধ্যাহ্ন ভোজন হয়। আর এই রথের অনুষ্ঠানে যোগ দেন গাজোলের হাজার হাজার মানুষ। উল্লেখ্য, প্রয়াত দুলার রায় ২৫বছর আগে পুরীর রথ যাত্রা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানকার রথযাত্রা অনুষ্ঠান দেখেছেন। সেই মত তিনি মালদার গাজলের বাস ভবনে গুন্ডিচি মন্দির তৈরী করেন। সেখানে প্রথমে একটি রথ আসতো। এরপর জগন্নাথ,শুভদ্রা বলরামের পুজো শুরু হয়। বেশ কয়েক বছর এই ভাবে রথযাত্রা অনুষ্ঠান চলতে থাকে। এরপর গাজোলের অন্যান্য রথ কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় সমস্ত রথ সোজা রথে গুন্ডিচি মন্দিরে আসবে। এরপর সেখানে মন্দিরে ৯দিন ধরে পুজোআর্চান হবে।প্রতিদিন দুই বেলা গাজোলের বাসিন্দারা অন্ন আহার গ্রহন করবে।প্রয়াত হয়েছেন দুলাল চন্দ্র রায়। এখনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে তার ছেলে বিধান রায়। এখনো প্রথা মেনে উল্টো রথ যাত্রার আগের দিন নিরামিষ ভাত,ডাল,সব্জি বিশেষ করে কচু শাক খাওয়ানো হয় ভক্তদের। এরপর পায়েশ মিষ্টির পালাও রয়েছে। গাজোলের বাসিন্দা জানান, ২৫ বছর ধরে এই গাজোলের বাসিন্দারা ১১টি রথের মাসির বাড়ি করেছে গুন্ডিচি মন্দিরকে। ১১টি জগন্নাথের পূজো হয় এই মন্দিরে। জগন্নাথ দেবের সাথে কচুর শাকের একটি বিশেষ ব্যাপার রয়েছে। ফলে আহারে প্রতিপাতে কচু শাক দেওয়া হয়। আমরা সকলে মিলে ৯দিন এই অনুষ্ঠানে যোগদান করি। বিধান রায় জানান,২৫ বছর থেকে ১১টি রথ নিয়ে গাজোলে কার্নিভাল হয়। এই রথের কার্নিভালে যোগদেন শুধু মালদা জেলার নয় পার্শবর্তী দুই দিনাজপুর সহ কলকাতার বহু মানুষ। ৯দিন ধরে ধুমধাম করে করে পুজো পাঠ। দুইবেলা অন্ন আহারের ব্যবস্থা থাকে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ এই আহারে অংশ গ্রহন করেন। উল্টো রথের দিন আবার কার্নিভাল করে যে যার বাড়িতে ফিরে যায়।