বিজেপিকে সমর্থন করার অপরাধে, বসত জমির মাটি কাটা এবং রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে


নদীয়া,শান্তিপুরঃ বিজেপিকে সমর্থন করার অপরাধে, বসত জমির মাটি কাটা এবং রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে , অভিযোগ অস্বীকার পঞ্চায়েত সদস্যার। নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি 1 নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বোয়ালিয়া গ্রামে, ষাটোর্ধ্ব পারুল বিশ্বাস দাবি করেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা শিউলি রায় এবং তার দুই ছেলে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় বসতভিটার মাটি কেটে নিয়ে যায় জেসিপি চালিয়ে। এবং রাতের অন্ধকারে লম্বু, সুপুরি সহ বেশ কিছু ধরনের ফলন্ত 21 টি গাছ কেটে দেয়। প্রতিবেশীরা দুপক্ষের কাউকেই সমর্থন করেন নি। অবশেষে বিচার চাইতে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। পারুল বিশ্বাসের ছোটো বৌমা সাধনা বিশ্বাস জানান, একদিকে তৃণমূলের দলীয় অন্যদিকে পঞ্চায়েতের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সদস্য শিউলি রায় জানান, পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছি মাত্র 4 বছরের কিন্তু সমস্যাটা 30 বছরেরও বেশি। দুই পক্ষের আমিন এলাকার প্রাক্তন প্রধান উপপ্রধান এমনকি বিজেপির জেলা কমিটির দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি সহ বিশিষ্টজনেরা দুপক্ষের কাগজপত্র দেখে সীমারেখা স্থির করেন, আর তার ফলেই সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উনি নিজেও সই করেন। সেদিনের সিদ্ধান্ত মতই সীমানা বরাবর গাছ কাটছে দেখেও আমরা কোন ছবি তুলে রাখিনি। আরেকটা আশ্চর্যের বিষয় ছোট সুপারি গাছ গুলো রেখে শুধুমাত্র মোটা গাছগুলো কেটেছেন। পরবর্তীতে মিথ্যে অভিযোগ করে প্রশাসনের কাছে। আরবান্দি অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, পারুল বিশ্বাস অতীতে তৃণমূলের সক্রিয় সদস্যা ছিলেন, শিউলি রায় টিকিট পাওয়ার পর ব্যক্তিগত ঈর্ষার কারণে তিনি বিজেপি করেন। গ্রামের বিশিষ্টজনদের সামনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত উনি সহমত পোষণ করে সই করা সত্ত্বেও তা না মেনে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে ভালোই করেছেন, দুই পক্ষেরই কাগজ আছে প্রশাসন বিচার করুক‌। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights