অরবিন্দ মাহাতো,পুরুলিয়াঃ পরকীয়া সম্পর্কের জেরে স্বামীকে মারধর করার অভিযোগ উঠলো স্ত্রী ও এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা মানবাজার থানার মাঝিহিরা গ্রামের। ঘটনায় এখনো উত্তেজনা এলাকাতে। যদিও ঘটনার দুইদিন পর মানবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে প্রহৃত ব্যক্তির পিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কর্মব্যস্ত সাংসারিক জীবনে মুরগি প্রতিপালন করতেন মাঝিহিরা গ্রামের জনৈক যুবক। গত 21 তারিখ নিজের মুরগি ফার্ম থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে বামনী গ্রামের যুবক সোমনাথ মাহাতোর সাথে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখতে পান। অভিযোগে উল্লেখ যে, সেই সময় স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর অভিযুক্ত যুবক সোমনাথকে ধরে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্ত্রী ও ওই যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বামীর উপর। দুজনে মিলে ব্যাপক মারধর করে তারা আর তাতেই জ্ঞান হারায় স্বামী বলে দাবি অভিযোগকারীর। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত যুবক সোমনাথ মাহাতোকে আটক করে এবং গ্রামের একটি বিদ্যুৎ সরবরাহের খুঁটিতে বেঁধে রাখে। পরে মানবাজার থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে উদ্ধার করে মানবাজার থানায় নিয়ে আসে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরো জানা যায় যে, আহত যুবককে প্রথমে মানবাজার গ্রামীণ হসপিটালে নিয়ে আসা হয় সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়াতে নিয়ে যাওয়ার কারণে অভিযোগ জানাতেও দেরি হয় বলে উল্লেখ করেছে অভিযোগকারী প্রহৃত ব্যক্তির পিতা। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা আছে এখনো। মঙ্গলবার এলাকার মানুষজনদের সাথে কথা বলে জানতে পারা যায় ওই যুবকের সাথে মহিলার পরিচয় ছিল। তবে বামনী গ্রামের কেউ কেউ এই ঘটনাকে সাজানো বলে দাবি করছেন। পুলিশ অভিযুক্ত সোমনাথ মাহাতোকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত।