ইন্দ্রজিৎ আইচঃ গত ১০ ই মার্চ “ওয়াল্ড কিডনি ডে” ছিল। এই কিডনি দিবসকে মাথায় রেখে কলকাতা প্রেস ক্লাবে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ এর দা পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি ডিভিশন আয়োজন করেছিলো আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা চক্র ও সাংবাদিক সম্মেলন। এই অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ এর ডিরেক্টার প্রফেসর ড অপূর্ব ঘোষ জানালেন শিশুদের মধ্যে কিডনি সংক্রান্ত রোগ খুব বাড়ছে।আমাদের এই হসপিটালে এখনো এই রোগের চিকিৎসা চলছে ১০০০ হাজারের বেশি শিশুদের। মা বাবা বা বাড়ির লোকদের সব সময় শিশুদের যত্ন করা উচিত। তাদের খাওয়া, স্বাস্থ্য দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কিডনির কোনো সমস্যা হলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। যেটা বাবা মায়েরা করেন না বা গুরুত্ব দেয়না, নিজের মতন ওষুধ খাইয়ে দেয়। এই কারণে বাড়াবাড়ির জায়গায় যায়। ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ এর পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজির প্রধান প্রফেসর ড রাজীব সিনহা জানালেন আগামী ১০ ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ফিউচার হোপ স্কুলে প্রয়াস নামে কিডনি সংক্রান্ত নানা পরীক্ষা করা হবে শিশুদের। বাচ্চাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি নানা উপদেশ দেওয়া হবে। পেডিয়াট্রিক মেডিসিনের প্রধান প্রফেসর ড জয়দেব রায় জানালেন এই রোগ মূলত হয় জন্মগত সমস্যা, ইনফেকশন, নেফ্রোটিক সিনড্রোম এর কারণে। মূলত বাচ্চাদের ইউরিনে গন্ধ, কালার চেঞ্জ, পেচ্ছাব কমে যাওয়া, বেড়ে যাওয়া, জোর করে পেচ্ছাব করা, পেচ্ছাব এর সময় জ্বালা, এমনকি ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ মুখ ফোলা ভাব বা ফুলে যাওয়া এই গুলোই কিডনি রোগের উপসর্গ। এরজন্য শিশুদের দ্রূততার সাথে এই রোগের চিকিৎসা প্রয়োজন আছে।
এই সংস্থার পক্ষে দেবলীনা দাশগুপ্ত জানালেন এওয়ার নেস এর অভাব, এনিমিয়া, এসিডিটি, ভিটামিন ডি এর অভাব, রক্তালপতা, আয়রন এর অভাব মূলত এই কারণ গুলোর জন্য এই রোগ শিশুদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এরজন্য প্রথম থেকে কিডনির সঠিক চিকিৎসা করলে আরো বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ও শিশুদের জীবন আরো সুরক্ষিত হয়ে ওঠে।