ক্লাসিকাল জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পীদের সন্মান জানালো শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স এর কর্নধার রূপক সাহা


ইন্দ্রজিৎ আইচঃ  ত্রিপুরা ও এই বাংলার অন্যতম স্বর্ণবিপনি শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স কেবলমাত্র সোনা ও হিরের গহনা ক্রেতাদের হাতে তুলে দিয়েই ক্ষান্ত হন না। এই সংস্থা সাংস্কৃতিক দুনিয়ায় সারা জাগানো নাম। শাস্ত্রীয় সংগীতের পৃষ্ঠপোষকতা সবার উপরে বলা যেতেই পারে। গত কয়েক বছর ধরে সংস্থার এই উদ্যোগ সর্বক্ষেত্রে প্রশংসার দাবি রাখে। যেখানে আজকের দিনের জীবন্ত কিংবদন্তিদের তাঁদের সৃষ্টির জন্য, সঙ্গীত জগতে এই গুণীজনদের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সম্মান জানানো হয়। যাতে আগামী প্রজন্ম যুগ যুগ ধরে তাঁদের এই কর্মকাণ্ড দেখে অনুপ্রাণিত হয়। এই বছরও শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স সম্প্রতি বেহালা ক্ল্যাসিক্যাল ফেস্টিভ্যালে বিশ্বখ্যাত বাঁশিবাদক পণ্ডিত হরি প্রসাদ চৌরাশিয়াকে সর্বোত্তম সম্মান প্রদান করলো। অন্যান্য বছরে ঠিক এর আগে পণ্ডিত বিরজু মহারাজ, উস্তাদ আমজাদ আলি খান, বেগম পারভিন সুলতানা, পণ্ডিত বিশ্ব মোহন ভাট, বেহালা বাদক এল সুব্রামানিয়ামকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে এই সংস্থা। এই বছর ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের প্রখ্যাত বাঁশিবাদক পণ্ডিত হরি প্রসাদ চৌরাশিয়াকে সংবর্ধনা দেওয়া হল। পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ ও তালবাদ্যশিল্পী  বিক্রম ঘোষ ওই জীবন্ত কিংবদন্তির হাতে এই সম্মান তুলে দেন। সঙ্গে ছিলেন শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স এর অধিকর্তা বকুল সাহা ও রূপক সাহা। এদিনের এই সম্মান প্রদান নিয়ে পণ্ডিত হরি প্রসাদ চৌরাশিয়া বলেন, ‘এটা আমার কাছে এক বিশেষ সম্মান। এর প্রধান কারণ ভারতের সংস্কৃতির পীঠস্থান শহর কলকাতা থেকে এই সম্মান পাচ্ছি। এই শহর আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আজ আমি কলকাতার মানুষদের কাছ থেকে ভালোবাসার দান হিসাবে এই সম্মান নিলাম। আর এটা সম্ভব হল শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য।’

পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ বলেন, ‘এ বছর পণ্ডিত হরি প্রসাদ চৌরাশিয়াকে এই সম্মান দিতে পেরে আমরা গর্বিত। জীবদ্দশায় তিনি নিজেই নিজের জগতে এক কিংবদন্তি।’ এ ধরণের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সকে অভিনন্দন জানান। অন্যদিকে, বিশিষ্ট তালবাদ্যশিল্পী বিক্রম ঘোষ বলেন, ‘এমন একজন শিল্পীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমি নিজে সম্মানিতবোধ করছি। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের জগতে তিনি নিজস্ব একটা সিগনেচার স্টাইল তৈরি করেছেন।’
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স এর অধিকর্তা রূপক সাহা বলেন, ‘আমরা নিজেদেরকে জুয়েলারি শো রুমের চার দেয়ালের গণ্ডিতে আটকে না রেখে সেখান থেকে বাইরে বেরিয়ে একেবারে অন্য ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকি। সমাজের যাঁরা সত্যিকারের সোনা বা বলা যেতে পারে জাতীয় সম্পদ তাঁদের সম্মান জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ এই সর্বোত্তম সন্মান আমাদের কাছে এক বিশেষ ব্যাপার। এবার পণ্ডিত হরি প্রসাদ চৌরাশিয়ার মতো মানুষকে সম্মান জানাচ্ছি, যাঁর জ্ঞানের আলোতে আমরা আলোকিত।’ শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে অধিকর্তা বকুল সাহা অনুষ্ঠানের অতিথিদের হাতে ফুলের স্তবক তুলে দিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights