নদীয়ায় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে পৌর প্রধান উপ পৌরপ্রধান এবং বিধায়কের নামে শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য


গোপাল বিশ্বাস,নদীয়া-ঃ রাজ্যের গত পৌর ভোটের প্রার্থির নাম ঘোষণা থেকে পৌরসভা পৌরপতির নাম নিয়ে তৃনমুল তথা শাসক শিবিরে চলেছে জোড় জল ঘোলা। পরে সকল পৌরসভায় দলের মনোনীত ব্যক্তিরাই পৌর পতি, উপ পৌর পতির আসনে আসিন হয়ে কাজ শুরু করেছেন। এরি সন্ধিক্ষণে নদীয়ার শান্তিপুরে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে শান্তিপুরের একাধিক জায়গায় পৌরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং বিধায়কের বিরুদ্ধে শহরের পড়ল পোষ্টার।নিচে লেখা সাধারন জনগন। যাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় এলাকায়। ওই পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে,’ গত বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর তৃণমূল কংগ্রেসের শহর-সভাপতি বৃন্দাবন প্রামাণিক এর নেতৃত্বে লড়াই করেছিল তখন দল হেরে গেলেও উপনির্বাচনে তার নেতৃত্বে দল জয়লাভ করে এবং বিধায়ক হয়েছেন ব্রজ কিশোর গোস্বামী । অথচ তাকে চেয়ারম্যান করা হয়নি। টাকা খেয়ে এসব করা হয়েছে।’ বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি বলে জানায়। এই বিষয়ে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান খতিয়ে দেখা উচিত। সেইসঙ্গে দলকেও বিষয়টা জানানো হবে।’

ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিকের নামে ওই পোস্টারে দুশ্চরিত্র লম্পট উল্লেখ থাকলেও তিনি বলেন, এ ধরনের বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না, পৌর উন্নয়নের প্রসঙ্গ হলে নিশ্চয়ই বলতাম। ওই পোস্টারে প্রাক্তন শহর সভাপতি বর্তমান 16 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বৃন্দাবন প্রামাণিকের সুখ্যাতি করা থাকলেও, তিনি জানান আমার প্রসঙ্গ কে বাকারা লিখেছে তা জানি না তবে এটা বিজেপির চক্রান্ত, দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা এবং আমাকে দলের কাছে আরও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এই সুখ্যাতি করে লেখা। যদিও শান্তিপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাস বলেন পুরো বোর্ড গঠনে তৃণমূলের প্যানেল ক্যানসেল করে তৃণমূল সভাপতি ভোটাভুটি করেছে, শুধু শান্তিপুরের নয় রাজ্য সর্বত্রই মূলত চেয়ার নিয়ে লড়াই। এ বিষয়ে বৃন্দাবন প্রামাণিকের অনুগামীরাই পোস্টার লাগিয়েছে গোষ্ঠী কোন্দলের কারনে। বিজেপি নীতি আদর্শের দল।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights