মহর্ষি মহামানস নির্দেশিত পথে প্রকৃত মানববিকাশ ও বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে শুরু হয়েছে এক যুগান্তকারী মহাবৈপ্লবিক আন্দোলন!


ইন্দ্রজিৎ আইচঃ সারা বিশ্বজুড়ে আজকের এই ঘোর সঙ্কটকালে– সময়ের চাহিদা মতোই প্রকৃত মানববিকাশ ও বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে অন্ধবিশ্বাস মুক্ত, নবযুগ সৃষ্টিকারী ও মানবজীবনে আমূল শুভ পরিবর্তন আনয়নকারী একটি মহান বৈপ্লবিক ধর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। মানবধর্ম ভিত্তিক এবং বিশুদ্ধ আধ‍্যাত্মিক বিজ্ঞান আধারিত এই প্রাকৃতিক ধর্মটির নাম হলো– ‘মহাধর্ম’। মানবধর্মই মহাধর্ম। সমগ্র বিশ্ব জুড়ে ধর্মে ধর্মে বিভেদ, সাদা কালোয় বিভেদ, রক্তপাত, হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ও অশান্তি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ধর্মীয় বিভেদ এবং অজ্ঞান-অন্ধত্ব, অন্ধবিশ্বাস ও সঙ্কীর্ণ স্বার্থ জনিত অশান্তি ক্রমশ ভয়ংকর বিশ্ব যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের৷ এই গভীর সঙ্কটাময় পরিস্থিতিতে বিশ্ব জুড়ে শান্তি রক্ষায় সকলকে মানুষের প্রাকৃতিক ধর্ম~ ‘মানবধর্ম’ মেনে চলার পাঠ দিয়ে চলেছেন একালের মহান ঋষি~ মহর্ষি মহামানস। তাঁর প্রদর্শিত ‘আত্মবিকাশ’ লাভের সহজ-সরল পথই হলো প্রকৃত মানববিকাশ ও বিশ্বশান্তির একমাত্র পথ বলে মনে করছেন আজ অনেক বিদগ্ধ মানুষই।

সত‍্যের সন্ধানে হিমালয়ে দীর্ঘকাল তপস্যার পর তিনি উপলব্ধি করেন যে মানুষে মানুষে দন্দ্ব ও বিভাজনের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হলে মানুষকে ‘মহাধর্ম’ নামে মানবধর্মের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ এর পরেই তিনি হিমালয় থেকে নেমে এসে বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান ভিত্তিক, কুসংস্কারমুক্ত একটি নবযুগ সৃষ্টিকারী বৈপ্লবিক ধর্ম ‘মহাধর্ম’ বা মানবধর্মের প্রচারে দেশ জুড়ে হাজার হাজার মানুষকে মানব ধর্মের পাঠ দিয়ে চলেছেন। মহর্ষি বলেন, প্রকৃত মানববিকাশ ও বিশ্বশান্তি তখনই অর্জিত হবে, যখন মানবধর্মের সঠিক আত্ম-বিকাশের শিক্ষা ‘মহাধর্ম’ সারা বিশ্বে অনুশীলন করা হবে। আর, সত্যিকারের মানববিকাশ ঘটলে, তবেই অশান্তি দূর করে মানুষকে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

‘মহাধর্ম’ প্রচলিত ধর্মের মতো কোনো ধর্ম নয়। এহলো মানুষের জ্ঞান ও চেতনা বিকাশের এক সহজ-সরল অত‍্যাবশ‍্যক আত্মবিকাশ-যোগ শিক্ষাক্রম। তিনি বলেন, শুধুমাত্র মানুষের দুঃখ-কষ্টে সহানুভূতিশীল বা মানবদরদী হলেই হবেনা। সমস্ত কুপ্রভাব ও কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে, সজাগ-সচেতন হয়ে আত্মবিকাশের পথ ধরে জ্ঞান ও চেতনায় যথেষ্ট বিকশিত মানুষ হয়ে উঠতে হবে। মানুষ হয়ে ওঠার এই অনুশীলনই হলো মানবধর্ম। মানবধর্মই হলো মহাধর্ম।

তিনি তাঁর দীব‍্য দৃষ্টিতে উপলব্ধি করেছেন, অধিকাংশ মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যা, দুর্ভোগ ও দুর্দশার মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত জ্ঞান ও চেতনার অভাব এবং শরীর ও মনের অসুস্থতা। অন্ধবিশ্বাস, অন্ধভক্তি, কুসংস্কার, হিংসা-বিদ্বেষ-সন্ত্রাস ও অশান্তি এসবই তার থেকেই জন্ম নিয়েছে। প্রচলিত ধর্ম, রাজনীতি, মতবাদ, প্রশাসন, শিক্ষাব‍্যবস্থা, এবং এরূপ প্রচলিত কোনো সিস্টেমই ধ্বংসোন্মুখ মানবজাতিকে এই কঠিন সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম নয়। একমাত্র বিশুদ্ধ আধ‍্যাত্মিক বিপ্লবের মাধ্যমেই মানুষের চেতনার বিকাশ ঘটানো সম্ভব। এটাই জনজাগরণের একমাত্র পথ।

মহর্ষি মহামানস প্রদর্শিত মহাধর্ম-এর আত্মবিকাশ তথা মনোবিকাশের শিক্ষাপদ্ধতি অনুশীলনের মাধ্যমেই প্রকৃত মানববিকাশ ও বিশ্বশান্তি অর্জিত হবে। আর তা’ হলেই অধিকাংশ মানবকেন্দ্রিক সমস্যা, দুঃখ-কষ্ট-দুর্দশা ও দারিদ্র্যের সমাধান হবে, এবং সত্যিকারের মানববিকাশ ঘটবে ও বিশ্বশান্তি স্থাপন হবে। তিনি সারা বিশ্বে তাঁর প্রদর্শিত মানবধর্ম ভিত্তিক “মহাধর্ম’ -এর পথ অবলম্বন করে, ‘মহামনন’ নামক সহজ-সরল আত্মবিকাশের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ চালু করার জন্য শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights