সুমাল্য মৈত্রঃ চৈত্রের অবসানের সময়েই দুয়ারে কড়া নাড়ছে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি পয়লা বৈশাখ। রাস্তা জুড়ে বিভিন্ন দোকানিরা বসিয়েছেন সেলের পসরা। তবে বর্তমান সময়ে বাঙালি কতোটা তাদের নিজেদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে পারে এই জেড যুগে। হালখাতা থেকে গনেশ পুজো এই সব এখন বদলে গেছে । বাঙালি এখন নতুন বছরকে বরণ করে ইংরেজি ধাঁচে। চোখে পড়ে না নববর্ষকে নিয়ে নতুন বছরের উন্মাদনা । তবুও কিছু মানুষ থাকেন ব্যাতিক্রমী সবাইকে নিয়ে হৈচৈ করে সমবেত হয়ে এক ছাদের তলায় মেতে ওঠেন আনন্দে সৃজনশীল কাজের মধ্যে ডুবেই যার আনন্দ খোঁজা। তার একান্ত আশ্রয় সেই কলম ও কবিতার কাছেই।তেমনই এক উদ্যমী মহিলা সোমা মুখোপাধ্যায়। লেখালেখির জগতে পাহাড় থেকে সমতল যাকে আপামর সাহিত্য সুজনেরা চেনেন বাবলি নামে।উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতের পূর্বাচলের এই মেয়েটা শুধুই সাহিত্যর জন্য জীবন সমর্পণ করেছেন। সোমারই সম্পাদিত বিসর্গ পত্রিকার উদ্যগে ঐতিহ্য মন্ডিত শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো মন্ডপে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো নববর্ষের আসর।সাবেকিয়ানা ও বৈঠকি আসরের ঢং-এ ।
রবিবার দশই এপ্রিল সোমা তার লেখালেখির পরিমন্ডলের মানুষদের নিয়ে বসিয়েছিল এই আসর।গানে কবিতায় আড্ডায় অন্য মাত্রা যোগ করেছিল বিসর্গের আয়োজনে এই প্রাক নববর্ষ উদযাপন । অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিটিল ম্যাগাজিন লাইব্রেরী ও গবেষণা কেন্দ্রের কর্ণধার সন্দীপ দত্ত/ নৌকা পত্রিকার সম্পাদক অমলেন্দু বিশ্বাস ছিলেন শব্দ শাব্দিক পত্রিকার সম্পাদক নৃপেন চক্রবর্তী অংশুমান কর ও মধুমঙ্গল বিশ্বাস। বিসর্গ পত্রিকার সম্পাদক কবি সোমা মুখোপাধ্যায় বরাবরই প্রধা ভাঙার পক্ষে এবারেও তার ব্যাতিক্রম হলো না অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের হাতে স্মারক নয় তুলে দিলেন সুরভিত বেলি ফুলের মালা দিয়ে উপস্থিত সবাইকেই আপ্যায়ন করা হয়। এছাড়াও অভ্যাগত অতিথিদের সবার জন্য ছিলো জলযোগের ব্যবস্থা। শোভাবাজারের বিখ্যাত মাছের কচুরি রসনারও তৃপ্তি ঘটায় সবার। শুধু পত্রিকার সম্পাদকই নয় সোমা নিজেও একজন সু্রন্ধন শিল্পী । তার লেখালেখির জগতের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাবার বানাতেও পারদর্শী এই বহু গুনে গুনান্নিতা ।কথায় আছে শেষ হয়েও হয়না শেষ বাঙালির নববর্ষ পালন আজ হয়তো অতীত তবে সোমার উদ্যোগে ও আরও অনেকের সহযোগিতায় নববর্ষের হারানো আমেজ ফিরিয়ে দিলো বিসর্গ ।