CBI এর দপ্তর দিল্লি থেকে পশ্চিম বঙ্গে আনা উচিৎ, বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গের যা পরিস্থিতি। নদীয়ার হাঁসখালিতে নির্জাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করে এমনি বললেন, কংগ্রেস নেতা অধির রঞ্জন চৌধুরী


গোপাল বিশ্বাস, নদীয়া-ঃ CBI এর দপ্তর দিল্লি থেকে পশ্চিম বঙ্গে আনা উচিৎ, বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গের যা পরিস্থিতি। নদীয়ার হাঁসখালিতে নির্জাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করে এমনি বললেন, কংগ্রেস নেতা অধির রঞ্জন চৌধুরী। পাশাপাশি তিনি তৃণমুল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বলা কথা অপরাধী, অপরাধী তাদের কোন রাজনৈতিক রং থাকা উচিৎ নয়, এই প্রসঙ্গে তিনি জানান ঠিকিই কথা, আমরাও চাই অপরাধীদের কোন রং না দেখে শাস্তি হোক। কিন্তু রাজ্যে যত খুন, ধর্ষন, গণহত্যা, সহ অসামাজিক কাজ হচ্ছে তার সাথে তৃণমুল কংগ্রেসের সরাসরি যোগ, এটা কি কাকতালীয় ? এছাড়াও পুলিশের ভুমিকা নিয়েও তিনি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন, তিনি বলেন পুলিশ নির্জাতিতার পরিবারকে সাহায্য করার নামে মুখ্যমন্ত্রীর বলা কথা গুলোই প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে, যে নাবালিকা মেয়েটির প্রেম ছিল, প্রেগনেন্ট ছিল, কিন্তু আমাদের দেশে স্বামীরও অধিকার নেই তার স্ত্রীকে ধর্ষন করার। আমরা নির্জাতিতার পরিবারের সাথে আছি, তারা না চাইলেও আমরা এর সঠিক তদন্ত ও অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জন্য CBI আপিল করবো। সব মিলিয়ে এদিন হাঁসখালিতে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধীরা এসে একটাই দাবি করে অপরাধীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির। আদও কি সঠিক তদন্তে উঠে আসবে ঘটনার সত্যতা, অপরাধী কি পাবে শাস্তি ? এই প্রশ্নই এখন সকলের।

রাজ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একাধিক ই্যসুর মধ্যে অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ই্যসু টেট, SSC কেলেঙ্কারির। যা নিয়ে শাসক বিরোধীর তরজা লেগেই চলেছে। আর বর্তমানে যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আর এই SSC দূর্নিতি মামলায় নাম জরিয়েছে দপ্তরে ও রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রীরও। আর এ নিয়ে বিরোধীরা সরব হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে CBI দপ্তরে হাজিরা দিতে। এদিন নদীয়ায় হাঁসখালিতে নির্জাতিতার পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন অধির চৌধুরী, তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি চোরকে চোর বলাই ভাল, SSC তে লুট হয়েছে, বলে তীব্র কটাক্ষ করনে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন এটা এখন তৃণমুল কংগ্রেসের পারিবারিক বিবাদ, পিসি ভাইপোর বিবাদ। পিসি যাকে ভাল বলছে ভাইপো তাকে চোর ৷ আর ভাইপোর লোককে পিসির লোক বলছে চোর।
তিনি আরও বলেন এরাজ্যে চাকরি পেতে গেলে এখন পরিবারের কাউকে ধর্ষিত হতে হবে, গণহত্যার শিকার হতে হবে, বাড়িতে লুট হতে হবে তবেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাকরির অফার পাওয়া যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে কোন মমতা এরাজ্যের মানুষ আসা করবেন না, নির্দয়া, নির্মমতাই আসা করুন। সব মিলিয়ে রাজ্য জুরে একের পর এক, খুন, ধর্ষন সহ বিভিন্ন সরকারি নিয়োগেও দূর্নিতিতে যে ভাবে শাসক দলের নেতা-কর্মি মন্ত্রীদের নাম জরিয়েছ, তাতে যথেষ্ট চাপে রাজ্যের শাসক তৃণমুল কংগ্রেস, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

About The Author


0 thoughts on “CBI এর দপ্তর দিল্লি থেকে পশ্চিম বঙ্গে আনা উচিৎ, বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গের যা পরিস্থিতি। নদীয়ার হাঁসখালিতে নির্জাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করে এমনি বললেন, কংগ্রেস নেতা অধির রঞ্জন চৌধুরী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights