“এসো হে বৈশাখ”, দ্য অ্যাস্টরের বৈশাখ আগমন


ইন্দ্রজিৎ আইচঃ ১১ই এপ্রিল, কলকাতাঃ সত্তোরের দশকের গোড়া থেকে আজ পর্যন্ত কলকাতাবাসীকে খাবার ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ করে তুলেছে, তার নাম অ্যাস্টর। মধ্য কলকাতার খুচরো ও পাইকারী ব্যাবসার কেন্দ্রবিন্দুতেই নির্মিত ঐতিহ্যবাহী অ্যাস্টর, তা অজানার কারোরই নয়। আর ১৪২৯ কড়া নাড়ছে দোর গোড়ায় ফলত দ্যা অ্যাস্টর ও তৈরী বৈশাখকে আগমন করতে, নাম “এসো হে বৈশাখ”। দ্য অ্যাস্টর তাদের ‘পয়লা বৈশাখ স্পেশাল মেনু’- বাঙালিদের জন্য একটি সুস্বাদু বাংলা রেসিপি তৈরি করছে। মূলত ঐতিহ্য ও শতাব্দী প্রাচীন জমিদারি সময়ের যে প্ল্যাটারে পরিবেশন করা হবে তাতে ভজন রসিক বাঙালী যে তৃপ্ত হবে সেটি আর অপেক্ষা থাকে না। পয়লা বৈশাখ প্ল্যাটার বাব-ই-কুয়ে, অ্যাস্টরের মাল্টি-কুইজিন রেস্তোরাঁয় লাঞ্চ এবং ডিনার উভয় সময়েই পাওয়া যাবে।

এইবার দেখে নেওয়া যাক স্পেশাল মেনুতে রয়েছে কী কী – রয়েছে চটকদার নিরামিষ এবং আমিষ জাতীয় খাবারের মিশ্রণ। শর্ষে চেন্নার টিক্কা সহ আমকাশুন্দি ডিপ, বাদাম বাটা দিয়ে মোচার কাটলেট, ডিমের পোস্তো বাটা এবং এঁচোড়ের দই বড়া থেকে শুরু করে বরিশালের কালো মরিচ মাংস, চেন্নার মহিমা, লেবুপাতা দিয়ে পরশে মাছের ঝালের মতো ডিশ যা মেইন কোর্সের অংশবিশেষ।তবে ‘শেষ-পাতে মিষ্টি’ ফোটাতে আছে কোমলা ভোগ, মিষ্টি দই, আম সন্দেশ এবং গোকুল ভোগ। মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ১৩৫০/- জন প্রতি, ১৪ এবং ১৫ই এপ্রিল ২০২২ উভয় সময়ে দুপুরে বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৮টে অবদ্ধি এবং রাতে মোটামুটি ৭ থেকে উপলব্ধ।

দ্য অ্যাস্টর কলকাতার জেনারেল ম্যানেজার অক্ষয় চাওলা বলেছেন,“আমরা এই বছর বিশেষ কিছু করতে চেয়েছিলাম, মানুষ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে, এবং এটি উদযাপন করা দরকার। বাঙালী নববর্ষের চেয়ে আর কি ভালো কাজ শুরু করতে হবে? আমরা ঔপনিবেশিক পছন্দগুলিকে নতুন করে তৈরি করছি প্রতিটি স্বাদের কুঁড়িকে তৃপ্ত করার জন্য, এবং আমি নিশ্চিত যে আমাদের গ্রাহকরা পয়লা বৈশাখে একটি দুর্দান্ত ভুরিভোজের জন্য ডেকের থালাটিকে বৈচিত্র্যময়, সুস্বাদু এবং সামগ্রিকভাবে মানানসই হবে।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights