রাজেন্দ্র নাথ দত্ত, মুর্শিদাবাদ : বর্তমানে চলছে জৈষ্ঠ মাস। বাজারে মিলছে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে তালশাঁস। বর্তমানে জৈষ্ঠের তীব্র দাবদাহের মধ্যেই বাজারে চলে এসছে তালশাঁস। গ্রীষ্মের সময় তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান জল। যা অনেকটা ডাবের জলের মতোই। এতে প্রচুর পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান থাকে। মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় সাত সকাল থেকেই তাল শাঁস বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা। তালশাঁস কে বলা হয় তালের কচি আঁটির শাঁস। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সাথে মুর্শিদাবাদ জেলার শহরের রাস্তার ধারে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর তাল শাঁস নিয়ে বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা। ১০টাকা তে তিনটি তাল শাঁস বিক্রি করছেন। দিনের শেষে এক থেকে দেড় হাজার টাকা রোজগার করে বাড়ি ফিরছেন তারা। তবে জানেন কি গুন রয়েছে এই তাল শাঁসের। কি এই তাল শাঁস। পুষ্টিবীদদের মতে, ডাবের জল এবং তালের শাঁসের গুণাগুণ একই রকমের। দুইটিই খোলসের ভিতরে থাকে। ডাবের জলের পুরোটাই তরল, অন্যদিকে তালের শাঁসে কিছুটা শক্ত অংশ থাকে। গ্রীষ্মে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তালের শাঁস।প্রচণ্ড গরমে তালের কচি শাঁস এবং এর ভেতরের মিষ্টি জল তৃষ্ণা মিটিয়ে শরীরে এনে দেয় আরামদায়ক অনুভূতি। এছাড়া এ সময় তাপমাত্রার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়া ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে এটি। অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে যে জল বেরিয়ে যায় তা পূরণ করতে সাহায্য করে তালের শাঁস। তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে জলশূণ্যতা দূর করতে সাহায্য। তালে শাঁসে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স যা শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারি। তালে শাঁসে রয়েছে ভিটামিনে, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে।প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। অনেক সময়ে অ্যাসিডিটির ফলে বমিভাব হয় এবং খাবার বিস্বাদ লাগে। কচি তালের শাঁস এই বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে খাবারে অরুচিভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আপনার যদি অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা থেকে থাকে, তাহলে তা দূর করতে খান কচি তালের শাঁস অপরিহার্য বলে মনে করেন অনেকেই। তবে খাদ্যগুণের সঙ্গে সঙ্গে এর শরীর জুড়ানো স্বাদের কারণে কচি তাল শাঁস কিনতে ভিড় করছেন পথ চলতি সাধারণ মানুষ।