রাজেন্দ্র নাথ দত্ত,মুর্শিদাবাদ : ইলিশ মাছ সকল বাঙালির প্রিয়।এপার বাংলা হোক কিংবা ওপার বাংলা, ইলিশ মাছের জনপ্রিয়তা সবসময়ই থাকে তুঙ্গে। ইলিশ মাছ দিয়ে তৈরি রকমারি সুস্বাদু রান্না জিভে জল আনে দুই বাংলার মানুষেরই। তবে অগ্নিমূল্য বাজারে ইলিশ মাছ খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও, দাম শুনে অনেকেই সাহস পান না। সেই কারণে অনেকেরই খাবারের মেনুতে ইলিশ মাছ দেখা যায় কমই। সামনেই জামাইষষ্ঠী। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলেদের সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরায় ছিল নিষেধাজ্ঞা। সেই কারণে ইলিশ মাছের যোগান তুলনামূলকভাবে কম এবার। তা সত্ত্বেও জামাইষষ্ঠীর বাজারে শাশুড়ি এবং জামাইদের যাতে চিন্তায় না পড়তে হয়, তার জন্য এখন থেকেই ইলিশ মাছ স্টক করছেন মাছের আড়ৎদাররা ৷
সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদ জেলার জেলার ফরাক্কা, রঘুনাথগঞ্জ, জঙ্গীপুর ও বহরমপুর শহরের বাজারে ছোট-বড় সব সাইজের ইলিশ মাছের যোগান রয়েছে কম।কিন্তু দামও সাধ্যের মধ্যেই বলে জানালেন মাছ ব্যবসায়ীরা। মাছের ওজন অনুযায়ী দাম৷ এক মাছ বিক্রেতা জানান, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে জামাইষষ্ঠীর দিনে এই মাছের দাম বাড়তে পারে, আবার কমতেও পারে বলে জানালেন মাছ বিক্রেতারা৷ অতএব মাছ প্রেমী বাঙালির জামাইষষ্ঠীর বাজার ভালোই কাটবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে আজকের তুলনায় জামাইষষ্ঠীর দিন ইলিশ মাছের দামের হেরফের হতে পারে বলেও জানালেন মাছ বিক্রেতারা। তবে এটুকু বলা যেতে পারে, পর্যাপ্ত পরিমাণে যোগান থাকায় জামাইষষ্ঠীর দিনে সুলভ মূল্যে ইলিশ মাছ খেতে পারবে খাদ্য প্রিয় বাঙালি।