ইন্দ্রজিৎ আইচঃ হেনা কৌশরের পরিকল্পনায় ও পরিচালনায় সাম্প্রতিক অতীতে বিউটি পেজেন্ট এইচ কে মিস্টার, মিস এবং মিসেস ইণ্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল শুরু করেছিলেন। দেখতে দেখতে এবার তা তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করল। এবার বিধাননগর বিকা ব্যাংকয়েট হলে অনুষ্ঠিত হলো এই প্রথম মুখ ও বধির দের রার্ম্প শো। হেনা কৌশর
এই মঞ্চ থেকে উনি কত নরনারীর যে স্বপ্ন পূরণ করছেন তা একমাত্র ঈশ্বর/খোদা-ই জানেন। এবারের শো হয়েছে বড়োই আকর্ষণীয়। এবার মূক ও বধির শিশু ও কিশোর কিশোরীরা তাদের নিজস্ব শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রাম্পের উপর নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর দেখিয়েছে।
বিচারক রূপে ডাঃ আরিফ নাসির বট, রোহিত সুমন, ডালিয়া মিত্রা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাগমণি উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে মুম্বই থেকে উড়ে এসেছিলেন বলিউড ফিল্ম ইণ্ডাস্ট্রীর অন্যতম অভিনেতা রাজা মুরাদ।
অনুষ্ঠান দেখে রাজা মুরাদ বলেছেন, এটা এমন এক বিউটি প্রেজেন্ট যেখানে যেকোনো ক্ষেত্র থেকেই নরনারীরা যোগদান করে পুরস্কার পেতে পারেন, বয়সের কোনো সীমা নেই, এর পাশাপাশি এই শো-এর যিনি রূপকার সেই হেনা কৌসর নিজেই ‘মিসেস এশিয়া’ খেতাব জিতেছিলেন। তিনি আরো বলেন, যে সকল বাচ্চা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বিভাগে রয়েছে তাদের রাম্পে হাঁটার সুযোগ করে দেওয়াটাই তৃতীয় বর্ষ (সিজন থ্রী)-র সবচেয়ে বড়ো বিশেষত্ব। সত্যি এটা একটা খুব বড়ো কথা। উর্দুতে বলা হয়- ‘নশা পিলাকে গিরানা তো সবকো আতা হৈ, মজা তো তব হৈ কি গিরনো কো থাম লে সাকী’ অর্থাৎ ‘নেশার দ্রব্য খাইয়ে ফেলে তো সবাই দিতে পারে, আনন্দ তো তখনই হয় যখন পতনশীল কো ধরে ফেলা যায়।