নিজস্ব প্রতিবেদনঃ আজ সংগীতজগতে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে একটি কালো দিন কারণ আমরা হারিয়েছি আমাদের সকলের প্রিয় সংগীত শিল্পী স্যার KK ( কৃষ্ণ কুমার কুন্নাথ) কে, তার আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা শিল্পী মহল শোকাহত কিন্তু সেই প্রসঙ্গকেও ছাপিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি ভাইরাল ভিডিও ,গতকাল রূপঙ্কর বাগচী তার ফেসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন (উপরের ভিডিও দেখুন) কে এই কে কে বাংলায় তো আরো অনেক সঙ্গীতশিল্পী আছে আমিও তো তার থেকে অনেক ভালো গান গাযই, তাহলে আপনারা কেন আমাদেরকে নিয়ে মাতামাতি করছেন না ! এরকম একটি কুরুচিকর মন্তব্য তিনি করেছিলেন গতকাল এবং এই মন্তব্যকে কোনভাবেই ভালোভাবে নেননি নেটিজেন থেকে শিল্পী মহলের সমস্ত কলাকুশলীরা তাই তাকে কটাক্ষ করে চলচ্চিত্র পরিচালক বুবুন রায় তার ফেসবুকে তারই গানকে কোটেশন করে লিখেছেন এ ‘তুমি কেমন তুমি’ এবং তিনি তাকে প্রশ্ন করেছেন যে রূপঙ্কর বাগচী কি সোনাগাছির দালাল ? যদিও পুলিশ কর্তাদের কাছে কে কে-র মৃত্যুকে ঘিরে অনেক ধোঁয়াষা তৈরি হচ্ছে। কেন বা কিসের কারণে মঞ্চে হঠাৎই ফায়ার এক্সিটিঙগুইজার চালানো হ’ল? অনেক অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন এখন কে কে-র মৃত্যু। তবুও তার এই মৃত্যুর আগের দিন বাংলার স্বনামধন্য গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর এই মন্তব্য না করলেই বোধহয় তাঁর পক্ষে ভালো হত। দেখে নেব এই লেখার শেষদিক, সেখানে প্রত্যক্ষদর্শী কি বলছেন ?
সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনারা পড়লে বুঝতে পারবেন যে কেকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি এই পোস্টটি করেছেন,
সংগীত জগতে একটি আলাদা মাত্রা প্রদান করেছিলেন কে কে, তার যে সম্মান আমাদের ভারতবর্ষের মাটিতে রয়েছে সেটা যাতে অক্ষুন্ন থাকে তারিই প্রতিবাদস্বরূপ বুবুন রায় তার ফেসবুকে এই পোস্টটি করেছেন, এমন সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিবাদ করার জন্য নেটিজনেরা তার শিল্পসত্তার প্রতি সহমত প্রকাশ করেছেন, কারণ তিনি লেখা শেষে কমেন্ট এ জানিয়েছেন জেল হবে হোক তবে আমার কলমের প্রতিবাদ আমি থামবো না, ধিক্কার জানাই আপনাকে রূপঙ্কর বাগচী।
ছবি ও পোষ্ট ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
আজ কেকে-র মৃত্যুর জন্য আর কেউ দায়ী নয়, খোদ উদ্যোক্তা, গুরুদাস কলেজ দায়ী!! লাস্ট লাইভ শো-এর দর্শক হিসেবে সবটা খুব কাছ থেকে দেখেছি, তাই সত্যিটাই বলছি! চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল আজ। ওইটুকু হলে ক্যাপাসিটির থেকে ৪গুণ বেশী লোককে ঢোকানো হয়েছিল। উদ্যোক্তারা নিয়ম নীতির কোনো তোয়াক্কাই করেননি। যার ফলে নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষর তরফ থেকে হলের এসি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা যারা বসে নিয়ে অনুষ্ঠান দেখছিলাম তারাই টিকতে পারছিলাম না এতো গরম আর ঘামে।তার উপর এতো লোকের ভিড়!
কেকে অনুষ্ঠান করতে করতে অনেকবার জানিয়েছেন যে তার খুব গরম লাগছে,পারফর্ম করতে কষ্ট হচ্ছে। এমনকি নিজের ঘামে ভেজা জামাও দর্শকদের দেখান তিনি। বারবার তোয়ালে তে ঘাম মুছছিলেন,বোতলের পর বোতল জল খাচ্ছিলেন। একটা সময় তিনি অতিষ্ট হয়ে বলেন লাইটম্যানদের পিছনের লাইটগুলো বন্ধ করে দিতে, উনি গরমে থাকতে পারছেন না। পিঠ জ্বলে যাচ্ছে।
এই সময় উদ্যোক্তারা কি করছিল? না তারা স্টেজে ৫০-৬০ জন উঠে দাঁড়িয়েছিল দুপাশে! কেকের পারফরম্যান্স করার জন্য যথেষ্ট জায়গাটুকু পর্যন্ত ছিলোনা স্টেজে। হাওয়া চলাচলের কথা তো ছেড়েই দিলাম! এসি চালানোর তো প্রশ্নই আসেনা।
এই পরিস্থিতিতে উনি পারফর্ম করেছেন,নেচে গেয়ে অনুষ্ঠান করেছেন। ওই অমানবিক গরমে, ঘামে আমরা বসে থাকতে পর্যন্ত পারছিলাম না। পারফরম্যান্স শেষ করতে না করতেই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন,হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
Copied From Trisha Banarjee.
She was in the audience…