নদীয়া: গোপাল বিশ্বাস : সাধারণ মানুষের জমানো কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল নদীয়ার নবদ্বীপের ব্রম্মনগর সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে । অভিযোগ, এলাকার সাধারণ মানুষ কোন রকম লোন নিতে গেলে চাওয়া হয় একের পর এক বিভিন্ন কাগজপত্র , সে সব দিলেও মিলছে না লোনের সাহায্য বা কখনো জমির কাগজ দিলেও বলা হয় লোনের পরিমান অর্থ সামান্য। কিন্তু সেখানে ব্যাংকের ম্যানেজারও ওই সমবায় সমিতির ভাইস চেয়ারম্যানের আত্মীয়-স্বজনকে কোন রকম কাগজপত্র ছাড়াই দিয়ে দেওয়া হচ্ছে লক্ষাধিক টাকার লোন । বারবার ম্যানেজারকে বলেও কোন সুরাহা হয়নি।
কৃষি ভিত্তিক এলাকা হবার সুবাদে এলাকার চাষিদের চাষের কাজে বা অন্য কোন প্রয়োজনে প্রায়সই লোনের দরকার পরে, কিন্তু মেলেনা কোন সাহায্য।
তাদের আরও অভিযোগ কয়েক বছর আগে সমবায় সমিতি থেকে একটি জমি কেনা হয় সেই জমি রুইপুকুর পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিক লাগিয়ে পুকুর কাটা হয়, এখানেই শেষ নয় সেখানকার মাটিও বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে সমিতির কাউকে না জানিয়ে অভিযোগের তীর ম্যানেজার ও পঞ্চায়েত মেম্বারের বিরুদ্ধে। ওই ব্যাংকের সদস্যদের অভিযোগ, ব্যাংকের ম্যানেজার এবং ভাইস চেয়ারম্যান তারা সাধারণ মানুষের জমানো টাকা কোনরকম সিকিউরিটি ছাড়াই তাদের ঘনিষ্ঠদের লোন হিসেবে দিচ্ছে। ফলে তারা আশঙ্কা করছে ভবিষ্যতে সেই লোন যদি তারা শোধ করতে না পারেন তাহলে মার যাবে সাধারণ মানুষের টাকা। অভিযোগ পাওয়ার পরে বারবার আমরা ওই শাখার ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কোনো রকম ভাবেই যোগাযোগ করতে চাননি । আজ তারা লিখিত আকারে ম্যানেজারের কাছে তাদের দাবী জানায় ও আগামী ৭ দিনের মধ্যে তার উত্তর জানতে চায়।
সব মিলিয়ে একের পর এক সমবায়ে দুর্নিতির ছবি ধরা পরেছিল আগে সাথে অতীতের চিট ফান্ড কেলেংকারীতে সর্বসান্ত হয়েছিল আম জনতা, আবারও কি সেই একই ভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পরবে এই সমবায় সমিতির সদস্যরা, সেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।