হাম রুবেলা প্রচারাভিযান


নিজস্ব প্রতিবেদনঃ নদীয়া জেলা প্রশাসনিক ভবন থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জেলার সকল মানুষের জ্ঞ্যাতার্থে জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক শ্রী শেখর সেন ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্রী জ্যোতিষ দাস মহাশয়ের সঙ্গে অন্যান্য বিশিষ্ট আধিকারিকের উপস্থিতিতে জানানো হয়, Measles Rubella Campaign নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে রাজ্য ব্যাপী সমস্ত জেলাতে নয় মাস থেকে পনেরো বছরের সকল শিশুদেরকে এই ক্যাম্পেইনের আওতায় নিয়ে এসে Measles Rubella ভ্যাসসিন দেওয়া হবে ইন্জেকশনের মাধ্যমে।

এই বিরাট কর্মযোগ্য অন্যান্য জেলার সঙ্গে নদীয়া জেলা, রাজ্য স্তরের সমস্ত নির্দেশ মেনে ও রাজ্য স্তরের আধিকারিক ও জেলা স্তরের আধিকারিগণের উপস্থিতিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পর্যালোচনা করার পরে আজকের এই প্রেস কনফারেন্স। আমার জেলাবাসীকে অবগত করছি যে আপনার কাছে স্বাস্থ্য কর্মীদের দেওয়া সঠিক সময় ও স্থান অনুযায়ী আপনার শিশুকে নিয়ে গিয়ে Measles Rubella ভ্যাকসিন নিয়ে নেবেন। এই ভ্যাকসিনে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যে এই ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেওয়া আগেই শেষ হয়েছে।

বাতাসে ভাসমান ধূলিকণায় অসুস্থ মানুষের হাঁচি বা কাশির জীবাণু মিশে যায় তা আবার অন্য মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। গর্ভবতী মার থেকে গর্ভস্থ শিশুর শরীরেও প্রবেশ করতে পারে। হাম রোগের লক্ষণ হলো জ্বরের সাথে গায়ে ফুসকুড়ি কাশি, সর্দি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া। রুবেলের লক্ষণগুলো হল, ছোটদের ক্ষেত্রে সাধারণতঃ গুরুতর হয় না চামড়ায় ফুসকুড়ি, অল্প জ্বর, বমি বমি ভাব অল্প মাত্রায় চোখের সংক্রমণ ঘটে। কানের পিছনে লাসিকা গ্রস্তি ফুলে ওঠা এর প্রধান লক্ষণ। এ বছর ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার শিশুকে এই টিকা দেবার একটা কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে জানুয়ারী ৯ থেকে ফেব্রুয়ারী ২৩-এর মধ্যে।

জেলা স্তরে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর যে সকল বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়েছে সেগুলি হল-

১. লাইন ডিপার্টমেন্টকে নিয়ে জেলা কোর গ্রুপ তৈরী করা ও বার বার এই কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা করা।

২. জেলা ও ব্লকসহ মিউনিসিপ্যলিটি স্তরে কনফারেন্স মিটিং করা হয়েছে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে।

৩. মাইক্রো প্ল্যান পুঙ্খানুপু্ঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

৪. DTFI ( District Task Force on Immunization ) ও AEFI ( Adverse events following immunization ) কমিটি মিটিঙে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে যদি কোন শিশু ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কোনো উপসর্গ দেখা দেয় তার জন্য ব্লক জেলা সহ মেডিকেল কলেজে বিনামূল্যে সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেস ব্যবস্থা নেওয়া এবং রেপিড রেস্পন্স টিম প্রতিটি ব্লক স্তরে দুটি করে থাকবে। IIMA  (Indian Institute of Medical Association) এবং IAP (Indian Academy of Paediatrics)-এর চিকিৎসকরা এই ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামে সর্বোতভাবে যুক্ত।

৫. বিভিন্ন ক্লাব, নন গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশন, CBO, ধর্মীয় লিডার সহ সমস্ত স্কুলগুলোতে ব্লক স্তরের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী ও নোডাল টিচার এই সহযোগিতায় অভিভাবক অভিবাবিকাদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে।

৬. এই ক্যাম্পেনিংয়ে রোটারী, লায়ন্স ক্লাব, রেডক্রস সোসাইটি ও বিভিন্ন NGO সকলে সক্রিয় অংশগ্রহণ করবে।

৭. বিভিন্ন প্রকার IEC ( InformatIon, Education & communication) ব্যবহার করা হয়েছে।

৮. সরকারী ও বেসরকারী স্কুল, ICDS, ক্রেশ, ইঁট ভাঁটা, জে জে হোম সহ যেখানেই এই বয়েসের শিশু পাওয়া যাবে আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদেরকে এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেনিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

৯. সমস্ত কর্মকান্ড বিশেষ নজরদারির জন্য জিপি, ব্লক, মিউনিসিপ্যলিটি ও জেলা স্তরে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আধিকারিক নিযুক্ত থাকবে।

১০. জেলা, ব্লক ও মিউনিসিপ্যলিটি স্তরে কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা থাকবে। জেলা বন্ট্রোল রুম নম্বর হলো 7548975303.

 

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights