দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে,মহিলাদের উলুধ্বনি ও কুঁ ঝিক ঝিক আওয়াজের মধ্য দিয়ে কৃষ্ণ নগর- আমঘাটা হল্টে গড়ালো রেলের চাকা।খুশি সকলেই।


গোপাল বিশ্বাস ,নদীয়া- একদা নস্টালজিয়া কৃষ্ণ নগর- স্বরূপগঞ্জের রেলপথ বা ছোট রেল। দীর্ঘদিন ধরে চলার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল মন্ত্রী থাকা কালীন এই ন্যানোগেজকে ব্রডগ্রেজ করার ঘোষণা করেছিলো। পরবর্তী সময়ে কাজ শুরু পর বিভিন্ন কারনে তা থমকে যায়, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পরে থাকার পর কৃষ্ণনগর -থেকে আমঘাটা প্রায় ৯ কিলোমিটারে রেল পথে রেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেলের তরফে।সেইমতো শুরু হয়, জোর কদমে কাজ।

কিন্তু এইবারে রেলের কাজ জোর কদমে শুরু হলেও স্থানীয় দের মধ্যে ছিলো ধোয়াসা, কারন জানা যায় বেশ কিছু বছর আগে এভাবেই রেল উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করে আবার বন্ধও করে দেয়। তবে বিভিন্ন মহল থেকে খবর আসছিলো এবারে লাইনে রেলের চাকা গড়াতে বদ্ধ পরিকর রেল দপ্তর। বুধবার ২৭শে মার্চ রেল দপ্তরের পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী কৃষ্ণনগর – আমঘাটা প্রায় ৯ কিলোমিটার রেল পথে গড়ালো রেলের চাকা।

আর এলাকায় ব্রডগ্রেজের ট্রেন চলতে দেখে খুশি সকলেই। এদিন দুপুরে প্রথমে আমঘাটায় এসে পৌঁছায় ট্রলি তারপর দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে এসে পৌঁছায় বৈদ্যুতিক ট্রেন, পাশাপাশি আমঘাটা স্টেশন চত্বরকেও তোলা হয়েছিলো সাজিয়ে। এদিনের এই বিশেস ট্রায়াল ট্রেনে ছিলেন রেলের ডি আর এম সহ বিভিন্ন আধিকারিক।

রেল দপ্তরের সুত্রে জানা যায় কৃষ্ণ নগর থেকে আমঘাটা লাইনের কাজ শেষ তাই বিজ্ঞপ্তি দিশে এদিন ট্রায়াল হিসেবে এই বিশেষ ট্রেনটি চালানো হলো, যাত্রী পরিষেবা দেওয়াও খুব শীঘ্রই শুরু হবে, সেটাও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে। রেল সুত্রে আরও জানা যায় আমঘাটা থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত বাকী রেল পথের কাজও যাতে খুব শীঘ্রই শুরু হয় তার জন্য বিশেষ পদক্ষেপও ইতিমধ্যে নেওয়া শুরু করেছে রেলের তরফে।

পাশাপাশি বুধবার সকালেই কৃষ্ণ নগরের শরৎপ্লী এলাকায় স্থানীয়রা এলাকায় চলাচলের প্রধান রাস্তা রেল বন্ধ করে দিয়েছে অভিযোগ তুলে পথ অবরোধের সামিল হয়েছিল, তাদের দাবী ছিলো এলাকার অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পুরো না আটকে গেট করা হোক৷ দীর্ঘ সময় আন্দোলন চলে বলেও জানা যায়, এদিন আমঘাটা থেকে সেই এলাকা বাসী অভিযোগের প্রশ্নে রেলের আধিকারিকেরা জানায় তাদের সাথেও কথা হয়েছে সমস্যা মিটে যাবে। এলাকায় দীর্ঘদিন পর পুনরায় রেল চালু হওয়ায় তা দেখতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights