কলেজছাত্রীর মাকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ


মালদা-পুরনো বিবাদের জেরে এক কলেজছাত্রীর মাকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। আহত ওই কলেজ ছাত্রীর মা চিকিৎসাধীন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার উত্তর রামচন্দ্রপুর এলাকায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় উত্তর রামচন্দ্রপুরের শম্পা বসাক নামে ওই গৃহবধূর মেয়ে সোনিয়া বসাক সে মালদার আইএমপিএস কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রী। বিগত দেড় বছর আগে ওই এলাকারই রতন কর্মকারের ছেলে ভিকি কর্মকার তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে একটি গন্ডোগোল হয়েছিল। সেই গন্ডোগোলের মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল বলে ওই ছাত্রীর পরিবার জানান। আর তার জেরেই প্রত্যেক দিনের মতো সকাল বেলায় মর্নিং ওয়াক করতে যায় ওই কলেজ ছাত্রীর মা। সেই সময় তাকে একা পেয়ে অভিযুক্তরা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আহত ওই কলেজ ছাত্রীর মাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ওই কলেজ ছাত্রীর মা।

এই বিষয়ে ওই কলেজছাত্রী জানান যে বিগত প্রায় দেড় বছর আগে ভিকি কর্মকার নামে ওই যুবক তাঁকে কলেজ যাওয়ার পথে ইভটিজিং করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ছিল। সেই প্রমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম আমি। এই নিয়ে সেই সময় তাদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল। তারপর মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই তাদের ওপর হুমকি আসৈ যে তাদেরকে দেখে নেবে। সেই মত তার মা সকালে মর্নিং ওয়াক করতে গেলে বেধড়ক মারধর করে ওই অভিযুক্তরা। এই বিষয়ে আমরা ইংরেজবাজার থানা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এখন নিরাপত্তায় ভুগছি কারণ কলেজ বা টিউশন থেকে বাড়ি ফিরতে আমার দেরি হয়। তাই আমার মায়ের মত যদি আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে সেই আশঙ্কাই আমি ভুগছি। আমি চাই পুলিশ প্রশাসন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করে।

এই বিষয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা সুশান্ত বসাক জানান, পুরনো বিবাদের জেরে তার স্ত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তরা। আমার মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে মালদার আইএমপিএস কলেজের। আমার মেয়ের ওপর এই ধরনের অত্যাচার হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তিনি চান অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করুন পুলিশ।পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights