ইন্দ্রজিৎ আইচঃ শেষ হলো ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। দু বছর করোনা র কারণে বইমেলা হয়নি। কিন্তু সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে এই বছর রেকর্ড ভিড় চোখে পড়েছে এই ১৩ দিন। বহু টাকার বইও বিক্রি হয়ছে। শুধু তাই নয় অনেক ছোট প্রকাশন এবার প্রথম বইমেলায় অংশ নিয়েছেন। তারা লাভের মুখ দেখেছেন। এবার বইমেলায় বিভিন্ন মঞ্চে বহু নানা ধরণের বই প্রকাশিত হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের বইমেলা সবদিক দিয়ে সার্থক হয়েছে। শেষদিন বইমেলার মঞ্চে ইউ বি আই অডিটোরিয়াম এ পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের তরফ থেকে বিশেষ ভাবে সন্মানিত করা হয় সাহিত্যিক বাণী বসু ও প্রকাশক সুরেশ দাস কে। সংবর্ধিত হন বিধান নগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, বিধাননগর কমিশনার সুপ্রতিম সরকার, বাংলাদেশ এর হাই কমিশনার তৌফিক হাসান, অনুস্টুপ, ৩৬৫ দিন প্রকাশন, ফসরা খাতা সহ আরো অনেকে। এই সন্মান স্বারক, উত্তরীয় ও ফুল তুলে দেন বইমেলার গিল্ডের অন্যতম দুই প্রধান ত্রিদিপ চট্টোপাধ্যায় ও সুধাংশু শেখর দে। মঞ্চে ছিলেন মিলিন্দ দে, শ্রীবিন্দু ভট্টাচার্য সহ আরো অনেকে। উপস্থিত সকলেই এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানান এবং কোভিড এর পর এত সুন্দর ভাবে বইমেলা করার জন্য গিল্ড কে ধন্যবাদ জানায় মঞ্চের সকল অতিথিরা। এক সাংবাদিক সম্মেলনে বইমেলার সম্পাদক ত্রিদিপ চট্টোপাধ্যায় জানান সামনে বছর অর্থাৎ ২০২৩ এর ৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি হল ” স্পেন “। হবে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে। তবে কোন তারিখে অনুষ্ঠিত হবে সেটা পরে জানানো হবে। সব মিলিয়ে বাঙ্গালীর বারো মাসের তেরো পার্বণের মতন বা দুর্গা পুজোর উৎসবের মতন এই ১৩ দিন বইমেলা সত্যি এক উৎসবের রূপ নিয়ে ছিলো। রাত ৯ টায় ৯ বার ঘন্টা বাজানোর সাথে সাথে বইমেলা শেষ হলো ঠিক কথা কিন্তু রেশ থেকে যাবে অনেক দিন আর আসছে বছর আবার হবে এই আশা নিয়ে আগামী বইমেলার প্রস্তুতি শুরু বলা চলে।