সম্পাদকের কলমেঃ ৭ ই অক্টোবর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থাপনায় জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় রানাঘাট পৌরসভা আয়োজন করেছিল নদীয়া জেলা দূর্গাপুজো কার্ণিভাল। জেলার সকল প্রশাসনিক মহল সহ জেলার সকল ঊর্ধতন কর্তাব্যক্তির উপস্থিতিতে এই কার্ণিভাল মহা সমারোহের সাথেই পালন হল। তবে এই কার্ণিভালে মূল ছিলেন নদীয়া জেলা শাসক শশাঙ্ক শেঠী মহাশয়। এই কার্ণিভাল শুরু হয়েছিল বিকাল ৫টা থেকে। কার্ণিভালকে উদ্দ্যেশ্য করে রানাঘাট দক্ষিণপাড়ার মোড়ে রাস্তা থেকে বেশ খানিকটা উঁচুতে যে মঞ্চ করা হয়েছিল সেখানেই সকল অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণ করেছিলেন। তবে এটাই দেখার জেলার সকল সরকারী ঊর্ধতন কর্মচারী থেকে রাজনৈতিক মহলেরও বিশিষ্ট মানুষজন এই কার্ণিভালে অংশীদারিত্বে অংশগ্রহণ করলেন। খুব ভালো লাগল জেলার এই উদ্যোগ। এর জন্য সব থেকে সম্মান জ্ঞাপন সহ অভিবাদন জানাতেই হয় রানাঘাট পৌরপিতা কুশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সুষ্ঠ ও সুন্দর, খুব ছোট পরিসরে অর্থাৎ রানাঘাট কলেজ প্রাঙ্গন থেকে রানাঘাট হ্যাপি ক্লাব মাঠ পর্যন্ত এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা। তবে আমাদের চোখে শান্তিপুরের রাস যে দৃশ্য প্রত্যেক বছর দেখায়, তার কাছে খুবই নগন্য। তবে বলতেই হয়, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ছোট থেকে বড় ও বৃহৎ আকার ধারণ করবেই এই কার্ণিভাল। রানাঘাট জেলা পুলিশের তৎপরতা একটু চোখে পরার মতোই ছিল। মঞ্চের ঠিক সামনে জেলা এস ডি ও সাহেব সারাক্ষণ রাস্তায় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সঙ্গে রানাঘাট জেলা পুলিশের ডি এস পি সাহেবকে সাথে নিয়ে নিপুণ ও সুরক্ষিত একটি শোভাযাত্রা রানাঘাটের মানুষজনকে দেখালেন। আগামীকাল কোলকাতা দূর্গাপুজো কার্ণিভাল সারা বাংলার মানুষ দেখতে পাবে দূরদর্শনের পর্দায়। কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সারা বাংলার মানুষের জন্য যে ভাবনা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। সারা বাংলার মানুষ যাতে তাদের জেলাতেও তাঁর মস্তিস্ক প্রসূত এত সুন্দর একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারে এবং জেলার নিজ নিজ এলাকার প্রতিমাকে নিয়ে উৎসবে মেতে থাকতে পারে তা তাঁরই পরিকল্পনা করা। কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন না হলেও বিভিন্ন ডান্স গ্রুপের একঘেয়েমি নাচ ও অতিরিক্ত সময় নিয়ে নিজেদের নৃত্য প্রদর্শনের প্রতি অনেকেই বিরক্ত হয়ে কার্ণিভাল ছেড়ে বাড়ি মুখি হয়ে চলে যেতে শুরু করেছিলেন। তবে আয়োজক কর্মকর্তাদের এটাই বলতে পারি আগামীর জন্য একটু ভাবতে হবে যাতে মানুষ একঘেয়েমিতে না ভোগে। দর্শক কিছু ট্যাবলো, প্রতিমা ও অন্যান্য কিছু দেখতে গেছে, যা তারা সহজে দেখতে পায় না। ব্ল্যাক স্পাইডারের প্রদর্শন বেশ প্রশংসাযোগ্য। রানাঘাট পান্থপাড়ার শোভাযাত্রাও বেশ ভালো লাগার। এই কার্ণিভালে রানাঘাট পৌরসভা মোট ১৪টি পূজা উদ্যোগতাকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন কিন্তু কয়েকজন আসেননি।