উচ্চ ফলনশীল ধানচাষে সাফল্য মিলল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান নুজিভীডু সিডস জানিয়েছে, তাদের গবেষনায় তৈরি ‘ইন্দ্রাণী’ এন পি ৭০৬১ নামে ধান বীজ উৎপাদনে ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করবে। পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গে শুধু ধান উৎপাদন কমেছে এমন নয়, সামগ্রিকভাবে কৃষিজাত উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এজন্য মূলত জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করা হয়েছে। এই সমস্যা মেটাতেই উচ্চফলনশীল শস্যের দিকে ঝুঁকছেন সকলে। এই ধরনের ধানগাছের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি বলে পোকামাকড়ের আক্রমণে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও কম। নতুন এই ধানবীজ বিভিন্ন ধরনের মাটি ও জলবায়ু অনুযায়ী, কৃষকদের তারা বীজ সরবরাহ করে। এই ধরনের বীজ থেকে উৎপন্ন গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, উচ্চ ফলনের সম্ভাবনাও থাকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের কৃষ্ণপুর গ্রামের চাষীরা ইন্দ্রাণী ধান চাষে ভালো সাফল্য পেয়েছে। কারণ বন্যায় বেশ কয়েকদিন ক্ষেত ডুবে থাকলেও এই গাছের তেমন ক্ষতি হয় না। শিসের দৈর্ঘ্য বেশ বড়ো হওয়ায় ধান কাটতেও খুব সুবিধা হয়। তাছাড়া দানাগুলিও বেশ পুরুষ্টু। এই ধানচাষে কৃষকদের সাফল্য প্রচার করতে পূর্ব মেদিনীপুরের বীরবরপুরের সারসা গ্রামে এবং পটাশপুরের কৃষ্ণপুর গ্রামে সেলিব্রিটি মেগা শো অনুষ্ঠীত হয়। ছিলেন কৌতুকাভিনেতা মাকু এবং বোলপুরের শিল্পী উত্তম দাস বাউল। ইন্দ্রাণী নিয়ে গান শোনান উত্তম দাস বাউল। অনুষ্ঠানে কৌতুকাভিনেতা মাকু কৌতুকের মাধ্যমে চাষিদের বোঝান এই ধানচাষে কেমন লাভ হয়। কর্তৃপক্ষের আশা, এই ধান চাষ করলে কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থারও দ্রুত উন্নতি হবে। আশ্চর্যের বিষয়, কাটা পর্যন্ত গাছ পড়ে যায় না। সব গুলি সমান মাপের লম্বা শিষ। একসঙ্গে সব ধান পাকে তাই কাটা সহজ এবং ফসল পাওয়া যায় বেশি।