ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সাইন্স-এর প্রতিষ্ঠা করে বাংলায় তথা ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা ও চর্চার পথ সুগম করেছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক, জাতীয়তাবাদী ও মুক্তবুদ্ধির অন্যতম পথিকৃৎ ড. মহেন্দ্রলাল সরকার। প্রতি বছর ২ নভেম্বর পালিত হয় তার জন্মদিন। এ উপলক্ষে কলকাতার পার্ক সার্কাসে ইন্ডিয়ান সাইন্স কংগ্রেস অডিটোরিয়ামে ড.মহেন্দ্রলাল সরকারের ১৯২ তম জন্মদিন পালিত হল হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের শিয়ালদহ ইউনিটের পক্ষ থেকে। এত বড় মাপের বিজ্ঞানী পরবর্তীকালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু করে এই চিকিৎসা ব্যাবস্থাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
ডক্টর সরকারের সেই অবদান তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডক্টর ভবতোষ বিশ্বাস,ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির নির্দেশক ডক্টর সুভাষ সিং। তিনি বলেন, এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় গোল্ডেন বয় হিসেবে খ্যাত তৎকালীন ব্রিটিশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টর সরকার হোমিওপ্যাথি রেজাল্ট দেখে ও হোমিওপ্যাথির ফিলোসফি দেখে ঘোষণা করেন যে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করবেন। আজ হোমিওপ্যাথি টিকে আছে তার নিজের গুনে। দা হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার শিয়ালদহ ইউনিটের সভাপতি ডক্টর বি পি দাস বলেন,একজন বিরল ব্যক্তিত্ব ছিলেন ড. মহেন্দ্রলাল সরকার। ভারতের বিজ্ঞান সভার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দেবের মত মানুষের চিকিৎসক ছিলেন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ডক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারতবর্ষের বিজ্ঞানের জনক বলা যেতে পারে ডক্টর সরকারকে। কলকাতা মেডিকেল কলেজের আলোপ্যাথি সায়িন্সের সেকেন্ড এমডি হয়েও পরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ফিরে এসে এক বিস্ময়কর ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির দুই প্রাক্তন নির্দেশক ডক্টর সমীর ভট্টাচার্য ও ডক্টর অভিজিত চট্টপাধ্যায়, হ্যানিম্যান পাবলিশিঙের নির্দেশক ডি এস ভড়,ডক্তর বিনয় কুমার দাস প্রমুখ।