সহদেব পরামাণিক : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা দুয়ারসিনি আঁকাবাঁকা রাস্তা জঙ্গলে ঘেরা ছোট ছোট পাহাড় আর পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে বয়ে গেছে সাতগুড়ুম নদী । পুরুলিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে অবস্থিত অপরূপ সৌন্দর্য মন্ডিত দুয়ারসিনি । বান্দোয়ান থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মনোরম পর্যটন স্থান । কেন্দ-সেগুন-আসন-কুসুম-করম-শাল-পিয়াল-মহুল-আমলকী-বহেড়া কুড়চি ছোট ছোট পাহাড়ে দণ্ডায়মান আঁকাবাঁকা রাস্তায় ফেলেছে ছায়া। ফাগুনে পলাশ ও শিমুলের রঙে রাঙা হয় দুয়ারসিনির আকাশ । অজানা পাখির ডাকে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়। সহজ সরল নির্ভেজাল মনের মানুষ আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাঁওতাল, খেড়িয়া, মুন্ডা, শবরদের বাসভূমি দুয়ারসিনি ও তার লাগোয়া গ্রামগুলিতে। এখানে আছে পাহাড়, জঙ্গল, নদী, শান্ত স্নিগ্ধ নির্জনতা আর মাথার উপর নীল আকাশের শামিয়ানা।
জঙ্গলপথ ধরে নীচে নামলে দেখতে পাওয়া যায় সাত ধারার সেই আশ্চর্য নদীকে যার চকচকে আয়নার মতো জলে নিজের প্রতিবিম্ব প্রতিফলিত হয় । এখানকার জঙ্গলে হাতি, ভল্লুক, বুনো শুয়োর, শেয়াল ইত্যাদির প্রাণীর বাস। আর আছে চেনা-অচেনা পাখির দল। পড়ন্ত বিকেলে খরস্রোতা নদী কুলুকুলু শব্দ আর শাল পিয়ালের মর্মর ধ্বনি চেনা অচেনা পাখির কলতান মন খুঁজে পায় যেন ঐশ্বরিক ভূমির সন্ধান । রাত নামলে জঙ্গলাকীর্ণ আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে হাঁটলে ঝিঝি পোকার ডাক সহ বেশ কিছু অজানা কীটপতঙ্গের মধুর ডাক শোনা যায় , একটা সময় ভারী বুটের আওয়াজ এ ঢেকে গিয়েছিল সেই স্নিগ্ধতা।
২০০৬-এর জানুয়ারিতে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ হয় দুয়ারসিনি হাটের কাছে পঞ্চায়েত সমিতির নির্মীয়মাণ অতিথি নিবাস। সেই থেকে আস্তে আস্তে পর্যটক আসা কমতে শুরু করে , তা হয়েছে এখন স্বাভাবিক অজানা আতঙ্ক কেটে শান্তির নীড়ে ফিরেছে আবার পাখি ভিড় জমাচ্ছেন পর