গোপাল বিশ্বাস -নদীয়া- এবার নবদ্বীপে ভোটারদের মধ্যে ভোট গ্রহন কেন্দ্র নিয়ে ছড়ালো বিভ্রান্তি। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার নবদ্বীপ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৫২ এবং ১২৫৩ নম্বর অংশের ভোটারদের মধ্যে। জানা যায় নির্বাচন কমিশনের তরফে এলাকার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি দেওয়া হয়েছে ভোটার স্লিপ। আর সেই স্লিপেই রয়েছে ভোটকেন্দ্রের ভুল ঠিকানা। আর এই ঘটনাকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে স্থানীয়দের একাংশের মধ্যে। জানা যায় নবদ্বীপ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে, একটি পীরতলা মেইন রোডে, আর অপরটি আমাবাগান জাতীয় বালিকা জি এস এফ পি বিদ্যালয়, যেখানে এবারে ৫২ এবং ৫৩ নম্বর অংশের ভোটারদের ভোট গ্রহন হবে। স্থানীয়রা জানায় নির্বাচন কমিশনের তরফে বাড়ি বাড়ি যে ভোটার স্লিপ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তাতে ভোটগ্রহন কেন্দ্র হিসাবে উল্লেখ আছে জাতীয় বালিকা জি এস এফ পি স্কুলের নাম রয়েছে, কিন্তু ঠিকানা দেওয়া হয়েছে প্রাচীনমায়াপুর বাজার, আর এই ঠিকানা কে ঘিরেই স্থানীয়দের একাংশের মধ্যে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। জানা যায় প্রাচীন মায়াপুর বাজার সংগ্লগ্ন এলাকায় ২১নং ওয়ার্ডেও ঐ একই নামে আরও একটি বিদ্যালয় আছে। আর শহরের ৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বিদ্যালয়টির ঠিকানা হল দ্বারিকবাবু রোড, আমবাগান, নবদ্বীপ। এবং স্থানীয়রা আরও জানায় কমিশনের তরফে দেওয়া স্লিপে যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেখানে অন্য একটি স্কুল রয়েছে এবং তার দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। স্থানীয়দের একাংশ জানান, ওই ভোটার স্লিপ হাতে পাওয়ার পর তাঁরা বিভ্রান্ত। অনেকেই জানতে চাইছেন যে তাঁদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র দ্বারিকবাবু রোড থেকে প্রাচীন মায়াপুর চলে গেল কি না। অনেকেই বুঝতে পারছেন না, কেন তাঁদের দীর্ঘদিনের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হঠাৎ করে পাল্টে অন্য জায়গায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধী তথা নবদ্বীপের উপপুরপ্রধান শচীন্দ্র বসাক,জানান আমরাও বিষয়টি জানতে পেরেছি, তিনি বলেন, “ওই স্কুলে বহুকাল ধরেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হয়। এলাকার মানুষ তা জানেন।
আমরা দলগতভাবেও সাধারণ মানুষকেও , জানিয়েছি বিভ্রান্ত হবার কিছু নেই, ওটা নির্বাচন কমিশনের দেওয়া স্লিপে ঠিকানা ভুল উল্লেখ আছে, যে যেখানে ভোট দিনেন সেখানেই দেবেন, পাশাপাশি এই সমস্যার বা বিভ্রান্তির দায় নির্বাচন কমিশনের উপর চাপিয়ে তিনি বলেন এই ভুলটা হওয়া উচিত নয়। বিজেপি নেতৃত্ব আনন্দ দাস জানান বিষয়টি আমরাও জেনেছি এবং এটা নিয়ে আমি বিডিও সাহেবের সাথে কথা বলেছি, তিনিও বলেছেন ওটা কোন কারন বশত ভুল ছাপা হয়েছে হয়তো, তিনি আস্বস্ত করেছেন এটা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না, আমরাও ঐ এলাকার ভোটারদের বলছি আপনরা কেউ বিভান্ত হবেন না, আপনাদের অংশ নং মিলিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট দেবেন।