সুমাল্য মৈত্রের রিপোর্টঃ ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হলো । তবে রক্তপাত হীন নয়। বারাসাত দুই নম্বর ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে । বিভিন্ন বুথে উৎসাহী ভোটারদের লাইন চোখে পড়ছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়েছে বারাসাত দুই নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা । প্রবল রোদ উপেক্ষা করেই ভোট দিতে এসেছিলেন বিভিন্ন বয়সের মানুষরা। তার মধ্যে ছিলেন বেশ কিছু বয়স্কও । তবে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করার মতো ভোট পড়েছে রোহন্ডা চন্ডিগর গ্ৰাম পঞ্চায়েতে । শিল্পনীড় পত্রিকার সাংবাদিক সরেজমিনে গিয়ে দেখে এসেছে বেলা গড়িয়ে গেলেও বারাসাত দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্ভুক্ত চন্ডিগর রোহন্ডা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা আদতে সামিল হয়েছিলেন গনতন্ত্রের উৎসবে । থিক থিক করছিলো শুধু কালো কালো মাথা। ওখানকার এক ভোট করাতে আসা অফিসার জানালেন বেলা যতো বাড়ে ততই বাড়ে উৎসাহি ভোটারদের ভীড়। তিনি আরো বলেন দুপুর পর্যন্ত এখানে ভোট পড়েছে চারশো শতাংশ। হাইকোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন বুথে বুথে যে আধা সামরিক বাহিনী থাকার কথা বলা হয়েছিলো সকাল থেকে বারাসাত দুই নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্ৰাম পঞ্চায়েতে ঘুরলেও চোখে পড়েনি কোনো আধা সামরিক বাহিনীকে । তবে বারাসাত দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্ভুক্ত রোহন্ডা চন্ডিগড় গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায় যেখানে ভোট কেন্দ্র হয়েছে অর্থাৎ রোহন্ডা চন্ডিগর উচ্চ বিদ্যালয়ে বাইরে এবং ভেতরে চোখে পড়ছে আধা সামরিক বাহিনীকে । সকাল থেকেই শিল্পনীড় পত্রিকার সাংবাদিক বারাসাত দুই নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্ৰাম পঞ্চায়েতে ঘুরে ঘুরে ঘুরে দেখেছেন সমস্যা শুনেছেন সাধারণ মানুষের। তবে অবশ্যই অবশ্যই উল্লেখ করার মতোই বিষয় বারাসাত দুই নম্বর ব্লক গ্ৰাম পঞ্চায়েত ভাগ্যবন্তপুরের রাস্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরেই । বহিড়া কালি বাড়ি থেকে ভাগ্যবন্তপুরের এই রাস্তা একে বারেই বেহাল দশা । স্থানীয় বাসিন্দা বছরের পর বছর অভিযোগ জানিয়ে এলেও ভাগ্যবন্তপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের রাস্তার ভাগ্য ফেরে না। বর্ষায় অবস্থা দাঁড়ায় আরও শ্রী হীন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ অভিযোগ জানাতে জানাতে ফাইলের পাহাড় জমে গেছে । রাস্তার ভাগ্য ফেরেনি ভাগ্যবন্ত পুরের। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন বহিড়া কালীবাড়ি থেকে ভাগ্যবন্তপুরের রাস্তায় একটা স্কুল পড়েছে । কর্দমাক্ত এই পিচ্ছিল পথ ধরেই যেতে হয় ছাত্র – ছাত্রি থেকে গ্ৰামের সবাইকেই । বারংবার ভাগ্যবন্তপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা এই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে অনড় রয়েছেন । ভাগ্যবন্তপুরের এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভের রাস্তার বেহাল দশা দেখিয়ে অভিষেকের নব জোয়ারকেও কটাক্ষ করেন। তিনি পরিস্কার বলেন এই হচ্ছে রাস্তার উন্নয়ন এবং নব জোয়ার । এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনও প্রমান করে দিলো এক শাসক যায় অন্য শাসক আসে বদলায় না হিংসার ছবি, বাদলায় না পরিস্থিতি। বদলায় শুধুই অমানবিক রূপ, বদলায় রঙ, বদলায় সাধারণ মানুষকে শোষনের ধারা। এবারেও সাধারণ মানুষের রক্তে ভিজে থাকলো পঞ্চায়েত নির্বাচন ।
Sumalya Maitra’s report: 2023 Panchayat Elections are over. But the bleeding is not bad. The polling in various panchayats of Barasat block number two was conducted peacefully. Lines of enthusiastic voters can be seen at various booths. As the day progressed, the residents of different Gram Panchayats of Block No. 12 participated in the festival of democracy. People of different age groups came to cast their votes despite the scorching sun. Among them were several elderly people. However, the voting in Rohanda Chandigarh Gram Panchayat is worth mentioning. The reporter of Shilpanid newspaper went to the ground and found that even though the day was over, the residents of Chandigarh Rohanda Gram Panchayat included in block number 12 had participated in the festival of democracy. Only blackheads were ticking. An officer who came to vote there said that as the day went on, the crowd of enthusiastic voters increased. He also said that 400 percent of voting has been done till noon. According to the instructions of the High Court, the paramilitary force which was said to be present in various booths in the panchayat elections, went around the different gram panchayats of Barasat two blocks since morning but did not see any paramilitary force. However, in the Rohanda Chandigarh Gram Panchayat area included in block number 12, where the polling center is located, i.e., Rohanda Chandigarh High School, paramilitary forces are visible outside and inside. Since morning, the journalist of Shilpanid newspaper visited the different village panchayats of Block No. 12 Barasat and heard about the problems of the common people. However, it must be mentioned that the common people’s anger about the road of Barasat two-block Gram Panchayat Bhagyawantpur has been for a long time. This road from Bahira Kali Bari to Bhagyavantpur is in bad condition. Even though the residents have been complaining for years, the fate of the road of Bhagyavantpur Gram Panchayat has not returned. During the rainy season, the situation is even worse. A mountain of files piled up for residents to complain about. The luck of the road did not return to Bhagywant Pur. Locals also complained that there is a school on the road from Bahira Kalibari to Bhagyavantpur. Everyone from the male and female students of the village has to go through this slippery, muddy path. The residents of Bhagyavantpur Gram Panchayat have repeatedly been adamant in their demand for the repair of this road. A resident of Bhagyawantpur also mocked Abhishek’s new tide by pointing out the poor condition of the roads. He clarified that this is road development and new tide. This year’s panchayat election also proved that one ruler goes, and another ruler comes, the picture of violence does not change, and the situation does not change. Only the inhuman form changes, the color changes, and the way of exploiting the common people changes. This time also the panchayat elections were soaked in the blood of common people.