নদীয়ায় নবজাত দুধের শিশুকে, দরজায় তালাবন্ধ করে পালিয়ে গেলেন মা ! ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়

গোপাল বিশ্বাস, নদীয়া :- তিন দিনের ছোট্ট এক রত্তি ফুটফুটে দুধের শিশু গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কেঁদে চলেছে , হাই স্পীড ফ্যানের আওয়াজ, পাশাপাশি ঘরে নানান কোলাহলে তা খেয়াল করেননি কেউ। ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা বন্ধ ১০ ঘন্টা যাবৎ। চরম অমানবিক নির্মম ঘটনাটি ঘটে শান্তিপুর যৌনপল্লীতে। উত্তর ২৪ পরগনার থেকে আগত নাজমা খাতুন, যৌনপল্লীর যৌনকর্মী। এলাকা সূত্রে জানা যায় অতিতেও তার দুটি ছেলেকে, নাবালক অবস্থায় বোম্বে দিল্লিতে কাজে পাঠিয়েছেন রোজগারের উদ্দেশ্যে, বাকি দুজনকেও অর্থের বিনিময়ে নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
বিক্রির বিষয়টি উহ্য থাকলেও আইন অনুযায়ী কোর্টের মাধ্যমে লিখিত করেছিলেন অপর দুই নাবালকের ক্ষেত্রে।

এবারে পঞ্চম হিসাবে সদ্যজাত তিনদিনের শিশু কন্যা রেখে, তালা বন্ধ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যাওয়ারর কারণ হিসাবে কন্যা সন্তান জন্মানোর কারণ দেখছেন প্রতিবেশীরা। সন্তান জন্ম নেওয়ার একদিন আগে পর্যন্ত পেশা অনুযায়ী যৌনকর্ম চালিয়ে গেছেন বলে অভিমত অন্যান্য যৌনকর্মীদের। প্রতিবেশী যৌনকর্মীরাই নবজাতককে উদ্ধার করে, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান মেডিকেল চেকআপের জন্য, এরপর ওই শিশুর মার সাথে যোগাযোগ করা হলে, প্রাথমিক ভাবে আসার কথা জানালেও পরবর্তীকালে মোবাইলের সুইচ অফ করে দেন। যৌনকর্মীরা শান্তিপুর থানার সরনাপন্ন হন।

এরপর নদিয়া জেলা চাইল্ড লাইন রাত দুটো নাগাদ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ঐ শিশুটিকে। চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি জানান, রানাঘাটে রেখে প্রতিপালন করা হবে। অন্যদিকে তার মায়ের সাথে পুনরায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে।

Gopal Biswas, Nadia:- A three-day-old baby was crying from morning to noon yesterday, the sound of high-speed fan, as well as the noise in the room, no one noticed it. The door of the house was locked from outside for 10 hours. The most inhuman brutal incident took place in Shantipur sex village. Najma Khatun, who comes from North 24 Parganas, is a sex worker. According to sources in the area, he had sent his two sons, as minors, to Work in Bombay, Delhi, to earn a living and sold the other two to childless couples for money.
Although the sale is irrelevant, according to the law, he was written through the court in the case of the other two minors.

This time, the neighbors see the reason for the birth of a girl child as the reason for the birth of the girl child as the reason for leaving the newborn three-day-old baby girl as the fifth one, leaving it locked and running away. Other sex workers are of the opinion that they continued to have sex according to the profession until a day before the birth of the child. The neighbouring sex workers rescued the newborn and took her to Shantipur State General Hospital for a medical check-up, after which the child’s mother, when contacted, initially informed her of arrival, but later switched off the mobile phone. The sex workers approached the Shantipur police station.

The Nadia District Child Line then rescued the child around 2 pm. The child line representative said that it will be kept in Ranaghat and will be nurtured. On the other hand, he will try to reconnect with his mother.