ইন্দ্রজিৎ আইচঃ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গোবরডাঙ্গা শিল্পায়ন স্টুডিওতে গোবরডাঙ্গা রূপান্তর নাট্য উৎসব। তিনদিনের এই নাট্য উৎসবের শুভ সূচনা করেন বিহার এর হিন্দি নাটকের নির্দেশক ও অভিনেতা জিতেন্দ্র সিং, শিল্পায়নের কর্ণধার আশীষ চট্টোপাধ্যায়, রূপান্তরের প্রাণ পুরুষ শ্যামল দত্ত, গোবরডাঙ্গা পৌর সভার পৌর প্রশাসক তুষার কান্তি ঘোষ, পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কাজল ব্যানার্জী, শশাঙ্ক শেখর দত্ত। রূপান্তর ৫০ বছরে পদার্পন করলো। সেই উপলক্ষে এই দলকে সকলে শুভেচ্ছা জানান ও এই উৎসবের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সেই সঙ্গে নাট্য নির্দেশক এই দলের কর্ণধার প্রয়াত মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এই বছর রূপান্তর মুকুল ব্যানার্জী স্বারক সন্মান প্রদান করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব শিবশঙ্কর চক্রবর্তীকে। ছিল ছোটদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা। উৎসবের প্রথম দিন মঞ্চস্থ রূপান্তর এর নাটক “সুরের জাদু”। নাটক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়।নির্দেশনা প্রতাপ সেন। কৃষ্ণনগর সিঞ্চনের নাটক দূরবীন। গল্পসুত্র শমীক ঘোষ। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা সুশান্ত হালদার। উৎসবের দ্বিতীয়দিন মঞ্চস্থ হয় কামাখ্যা গুড়ি আওয়াজ সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংস্থার নাটক চক্ষুদান। নাটক গৌতম রায়, নির্দেশনা বিষ্ণুপদ চক্রবর্তী, ছিলো রূপান্তর এর নাটক আমি আগন্তুক। নাটক শিবশঙ্কর চক্রবর্তী। নির্দেশনা শ্যামল দত্ত। উৎসবের শেষদিন মঞ্চস্থ হয় সৃষ্টি সালকিয়ার নাটক ভগবানও ভুল করে….। কাহিনীসূত্র মোহিত চট্টোপাধ্যায়। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা হরপ্রসাদ চক্রবর্তী। রূপান্তর নাট্য উৎসবের শেষ নাটক ছিলো ফিনিক কাঁচরাপাড়ার নাটক “বিলাসী বেদনা নয়”। নাটক শান্তনু মজুমদার।নির্দেশনা কাবেরী মুখার্জী।সবমিলিয়ে জমে উঠেছিলো তিনদিনের গোবরডাঙ্গা রূপান্তর নাট্যউৎসব। সেইসঙ্গে এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে রূপান্তর নাট্যদলের ৫০ বছর উদযাপনের শুভ সূচনা হলো।