নিজস্ব প্রতিবেদন– এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি। কবি সুকান্তর সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক সূচনা করল আজ ছাত্র ছাত্রীদের সদ্য গঠিত হয়ে ওঠা সামাজিক সংগঠনের প্রথম পদক্ষেপ।আগামীতে তাদের পড়াশোনার সাথে সাথে দুঃস্থ মানুষের পাশে, তাঁদের প্রয়োজনে সাধ্যমতো দাঁড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোঘণা করা হয় ঊড়ানের তরফে। বিশ্বব্যাপী কোভিড ১৯ জনিত লক ডাউনের কারণে বিগত ২ বছর ধরে প্রায় বন্ধ হয়ে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু হতেই স্বামী বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটি (কাঁঠালিয়া, উত্তর পরগণা) র ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সুদীপ্ত, নয়ন, সঞ্জিত, সাগর, প্রীতম, ইন্দুর মতো প্রায় শখানেক পড়ুয়া জীবনে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে চলা ছাড়াও বেঁচে নিয়েছেন আরো একটা রাস্তা। পড়াশোনা, আড্ডার মাঝেও আর ৫ টা সাধারণ দুঃস্থ মানুষের মনের কষ্ট অনুধাবন করেছেন এবং নিজেদের কাছে নিজেরাই প্রতিজ্ঞা করেছেন সেইসব অসহায় মানুষের পাশে সাধ্যমতো থাকার। এঁদের এই মহৎ ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করতে প্রথম থেকেই শিক্ষকমন্ডলীর কয়েকজন।
গতকাল ঊড়ান এর পক্ষে ব্যারাকপুরের বামুনমূড়া স্থিত শিশু আশ্রমের দুঃস্থ আবাসিক দের জন্য শীতবস্ত্র এবং খাবারের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সমাজসেবী ডাঃ সত্যজিত ঘোষাল, শ্রী ভাষ্কর ঘোষ, শ্রী আদিত্য চন্দ, শিশু আশ্রম, বামুনমূড়া র বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আধীকারীক শ্রী অশীম মন্ডল, বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটি র শিক্ষক শ্রী অরিন্দম ঘোষ এবং শিশু আশ্রম আর ঊড়ান এর মধ্যে সমন্বয়ক রূপে উপস্থিত ছিলেন বাঙালি বৈদ্য সমাজ এর সম্পাদক তথা মুস্কিল আসান ফাউন্ডেশন এর সম্পাদক শ্রী বিরেশ্বর দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ডাঃ ঘোষাল ঊড়ানের সংগঠকদের এই মহৎ ভাবনার জন্য বিশেষ ভাবে সাধুবাদ জানান এবং এই বয়সেই এই ধরণের কাজে নিজেকে সঁপে দেবার মানষিকতাকে বেছে নেবার জন্য কুর্ণিশ জানান। ভবিষ্যতে ওদের সাথে মানুষের প্রয়োজনে সমস্থ কর্মকান্ডে সাধ্যমতো পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন মঞ্চ থেকেই। শ্রী অশীম মন্ডল তাঁর বক্তব্যে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা ছাত্র যুব রা মোবাইল এ সময় ব্যয় করার বদলে সেই সময়টা সমাজে পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য ভাবছেন সেটা অন্যতম পাওনা রূপে ব্যাক্ষ্যা করেন। শ্রী ঘোষ তাঁর ছাত্রদের এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য নিজের পুরোটা দিয়ে তাঁর ভবিষ্যতে ছাত্রদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিরেশ্বর দাশগুপ্ত তাঁর বক্তব্যের সুচনাতেই ধন্যবাদ জ্ঞ্যপন করেন উপস্থিত সকল গুণিজনদের আর সুদীপ্ত সহ টিম ঊড়ান এর শ খানের ছাত্রছাত্রীদের এই রকম একটা মহৎ অনুষ্ঠানের অংশ হতে পাওয়ার সুযোগ পাবার জন্য। ঊড়ানের ভবিষ্যত সমস্ত সামাজিক কাজে তাঁদের পাশে থাকা ছাড়াও বর্তমানে সমস্ত সামাজিক সংগঠনগুলিকে একে অন্যের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসার আবেদন গানিয়ে শ্রী দাশগুপ্ত বলেন যে the Platform – সমাজসেবী সংগঠন নামক একটি কমন প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা সমস্থ সমাজসেবী সংগঠন যদি যুক্ত হতে পারি, সেক্ষেত্রে উপকার পাবেন সাধারণ দুঃস্থ মানুষ।
সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য ঊড়ান সম্বন্ধে সংবাদ মাধ্যমকে অবগত করার জন্য বলেন “দুঃস্থ মানুষের স্বপ্ন পূরণ করব আমরা”। আর আই এই ভাবনার বাস্তবায়ন শুরু করতে মাত্র ১০ জন ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের হাতখরচ থেকে রোজ ১০ টাকা করে জমিয়ে শুরু হওয়া এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হলো আজ। অতি অল্প সময়েই মাত্র ১০ থেকে ১০০ সদস্যের যোগদান, বিশেষ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে সোমনাথের ন্যায় ছাত্র, অরিন্দম বাবুর মতো শিক্ষক সহ মানুষ প্রতিনিয়ত আরো এগিয়ে আসুন ওদের এই কর্মকান্ডে তা তাঁরা আশা করেন।