দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রঙ্কলিন ডি রুসভেল্ট খুবই অনুশোচিত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ অনেক শিশু, নারী, পুরুষ, পশুপাখি এমনকি প্রকৃতির অনেক ক্ষতি হয়েছিলো। সেই কথা মাথায় রেখেই রাষ্ট্রসঙ্ঘ ১৯৪৮ সালে ১০ই ডিসেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং সারা পৃথিবী জুড়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষায় হিউম্যান রাইটস ইন এডুকেশান চালু হয়।
এই দিনটিকে স্মরন করে মানবধিকার নিয়ে উল্লেখ্যোগ্য কাজ করার জন্যে প্রতি বছর দেশের বিশিষ্ট মানুষদের পুরষ্কৃত করেন নিউ দিল্লির ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ হিউম্যান রাইটস প্রতিষ্ঠান। মানবাধিকার শিক্ষার বিস্তার, বিভিন্ন আদালত ও কমিশনে মানবাধিকার রক্ষার আইনি বিষয়ে পরামর্শ এবং মামলা করে মানুষের জীবনযাত্রা রক্ষায় আইনি সহায়তার জন্য এবছর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ হিউম্যান রাইটস এর উদ্যোগে ‘গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস প্রটেকশান এওয়ার্ড’ তুলে দেওয়া হল পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট মানবধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডঃ বরুন কুমার দাশকে। বরুনবাবু বর্তমানে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র অতিথি অধ্যাপক এবং কোলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী। তিনি মানবাধিকার বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ল এন্ড ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে একটি বই লিখেছেন যেটি ইতিমধ্যেই এলাহাবাদের সেন্ট্রাল ল এজেন্সি প্রকাশ করেছেন। যেটা সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং মানবাধিকার বিষয়ে পঠনপাঠন হয় যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেখানে পড়ানো হচ্ছে৷ মঙ্গলবার বিশ্ব মানবধিকার দিবসের দিন দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশানাল সেন্টারে ২৪ তম বিশ্ব মানবধিকার কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে তাকে ‘গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস প্রটেকশান এওয়ার্ড – ২০২৪’ তুলে দেন সংস্থার নির্দেশক ড.রাহুল রাই। পুরষ্কার পেয়ে খুশি বরুন বাবু বলেন, মানবধিকার রক্ষায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। এই পুরষ্কার তার কাজের স্বীকৃতি। এর আগেও অটল বিহারী বাজপেয়ী সহ বহু বিশিষ্ট মানুষকে সম্মানিত করেছে এই প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে যে সম্মান দেওয়া হল তাতে তিনি আরো বেশি মানুষের জন্যে, মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাওয়ার উৎসাহ পাবেন বলে জানান বরুন বাবু।