ভাগাড়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সরাসরি প্রদর্শন হল নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ‘টেকনো-ম্যানেজমেন্ট’ ফেস্ট-এ’


ইন্দ্রজিৎ আইচঃ জে আই এস গ্রুপের অন্তর্গত নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজিত দু’দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের নাম- ‘কৃতাঞ্জ’।  তার শুভ সূচনা হলো। জেআইএস গ্রুপের অন্তর্গত নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বৃহস্পতি ও শুক্রবার (৫ ও ৬ই মে) মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় টেকনো-ম্যানেজমেন্ট ইভেন্ট – ‘কৃতাঞ্জ’-এর আয়োজন করছিল কলেজ ক্যাম্পাসেই। এবছরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – ভাগাড়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর এক অভিনব ধারণার সরাসরি বা লাইভ প্রদর্শন করা হয়েছিল আগরপাড়া স্টেশন রোডের কাছের ভাগার থেকে। এদিন প্রদর্শিত টার্বো বিভাজক প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল বর্জ্য পদার্থ আলাদা করা এবং সেগুলির পরিমান যথাসম্ভব হ্রাস করা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় এম এস এম ই বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক দেবব্রত মিত্র, এম সি আই আই-এর কর্মকর্তারা, এম বি এ চায়ওয়ালা-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রফুল্ল বিল্লোর, বিখ্যাত কোডার রাজ বিক্রমাদিত্য ওরফে স্ট্রাইভার, ‘হোয়্যার ইস দ্য ফুড’-এর সিইও সায়ন চক্রবর্তী, কামারহাটি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তুষার চ্যাটার্জি, এবং জে আই এস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তরণজিৎ সিং প্রমুখ। সমগ্র রাজ্যের বিভিন্ন টেকনোলোজি কলেজ থেকে এই ফেস্টে অংশগ্রহন করেছিল প্রায় ৮০০০-এর ও বেশি ছাত্র-ছাত্রী। সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার পুরস্কারও জিতেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। টেকনোলজিক্যাল সিম্পোজিয়াম, রোবোটিক্স বা কোডিং, ফুড ফাইট ইত্যাদি সহ প্রায় ৬০-এরও বেশি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। এটি রাজ্যের সম্ভবত এই প্রথম কোনো কলেজ যেখানে অল্প-বয়সী শিক্ষার্থীরা শহরের পরিছন্নতার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্য এরকম অভিনব প্রয়াস নিয়েছেন। জেআইএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তরণজিৎ সিং এদিন জানিয়েছেন, “পরিচ্ছন্ন শহর এবং পরিবেশ বজায় রাখার এই অনন্য উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা তরুণ শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যন্ত গর্বিত যারা নিঃসন্দেহে পৃথিবীকে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করার প্রয়াস করে চলেছে প্রতিনিয়ত।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights