সৌমাল্য মৈত্রঃ কথায় বলে কালি কলম মন লেখে তিনজন। এই মূল মন্ত্রকেই পাথেয় করে হাওড়া জেলা অঙ্কুরোদগম রবিবার সাতাশে মার্চ আমতার পিতাম্বর হাই স্কুলে এক সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করে। যার মূল সুর ছিলো কৃষ্টি ও কল্লোল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অঙ্কুরোদগম সাহিত্য সংস্থার সম্পাদক ও সম্পাদিকারা। বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে এসেছিলেন কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক শেলার্স গিল্ডের অন্যতম কর্মকর্তা ও পত্রভারতী প্রকাশনীর কর্ণধার ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, দেজ পাবলিকেশন্স-এর কর্ণধার সুধাংশু শেখর দে এবং লেখিকা চুমকি চট্টোপাধ্যয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমতা বিধানসভার বিধায়ক বিশিষ্ট চিকিৎসক নির্মল মাঝি। উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিদের সংবর্ধনা জানান বিভিন্ন অঙ্কুরোদগম সাহিত্য সংস্থার বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিরা। অঙ্কুরোদগমের মুল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সাহিত্য ও সংস্কৃতির মধ্যে থেকে এক সেতু নির্মাণ করা এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই অন্তত আন্তরিকতার সাথেই বিভিন্ন জেলা। অঙ্কুরোদগম সাহিত্য সংস্থার মূল মন্ত্র কি এদিন এ বিষয়ে স্পষ্ট আলোকপাত করেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা অঙ্কুরোদগমের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কবি ও সংগঠক সোমা মুখোপাধ্যায় । তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখালেখি করছেন অথচ তেমন পরিচিত নয়, সেই নতুন সম্ভাবনাকেই মেলে ধরছে অঙ্কুরোদগম। পাশাপাশি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রিদের ভেতরেও সাহিত্য চেতনা জাগিয়ে তুলতে শুরু করেছে ক্যাম্পাস অঙ্কুরোদগম। যে কোনো সাহিত্য সংগঠনের থেকে এই উদ্যোগ যে ব্যাতিক্রমী তা জোর গলায় বলা চলে। অঙ্কুরোদগমের রাজ্য সভাপতি তাপস মহাপাত্র , সম্পাদিকা নমিতা দাশ, কল্লোল চক্রবর্তী সবার মিলিত প্রচেষ্টায় অঙ্কুরোদগম আগামীতে সাহিত্য অঙ্গনে আরও মহিরুহতে পরিণত হবে ।