সুমাল্য মৈত্রের রিপোর্টঃ সেই কবে রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন “প্রতিভা তোমারও আছে জেনো, ধরতে লেখনি দ্বিধা কেনো” এই কথাকেই পাথেও করে এবং এক ঝাঁক নতুন প্রতিভাকে জায়গা করে দিতেই শিশির মঞ্চে রবিবার দশই জুলাই শুভ সুচনা হলো অঙ্কুরোদগম সাহিত্য সংস্থার বৃহত্তর অনুষ্ঠান কবিতা কল্লোলের। বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাসক দলের বিধায়ক অদিতি মুন্সী / লোক গায়ক স্বপন বসু/ দেজ পাবলিকেশন্স এর প্রধান সুধাংশু দে/ পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি তথা পত্র ভারতীর কর্ণধার এবং কিশোর ভারতী পত্রিকার সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। অন্যান্য অতিথিদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন লেখিকা চুমকি চট্টোপাধ্যায় কুমকুম ভট্টাচার্য, পার্থসারথি দেশিকান ও পিয়ালি গাঙ্গুলি । শিশির মঞ্চে বৈদ্যুতিন প্রদীপের আলোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করেন বিধায়ক ও কীর্তন গায়িকা অদিতি মুন্সী । একে একে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিরা । প্রত্যেকের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কথা ও সুরের এক সমন্বয় গড়ে ওঠে। অঙ্কুরোদগম সাহিত্য সংস্থার এই কবিতা কল্লোলে যোগ দিতে সদস্য ও সদস্যারা বিভিন্ন জেলা থেকে উপস্থিত হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ের সাহিত্য সম্মেলনের থেকে যা ছিলো একদমই আলাদা । বিভিন্ন জেলার সদস্য ও সদস্যারা তাদের পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। এতো বড়ো অনুষ্ঠানে মাঝে মাঝেই যোগ্য সঞ্চালনার অভাবটাও বড়ো হয়ে দেখা দিয়েছে। যার ফলে ক্যাম্পাস অঙ্কুরোদগমের সদস্য ও সদস্যারাও তাদের পরিবেশনা মঞ্চস্থ হওয়ার মাঝ পথেই থামিয়ে দিতে হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রথম দিনই শিশির মঞ্চে এক বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় এক উত্তপ্ত পরিস্থিতির । উপস্থিত অনেক সদস্য সদস্যাই প্রথম দিনই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার জন্য অনুষ্ঠান না করেই ফিরে চলে যাযন অনেকেই । তিনদিনের এই অঙ্কুরোদগম সাহিত্য সংস্থার কবিতা কল্লোলে বাকি সময়টা মুখরিত হয়ে ছিলো কথায় কবিতায় শব্দে গানে নৃত্যে । আগত অনেক জেলাই নির্দিষ্ট সময় থেকে বেশি সময় নিয়ে নেওয়ার জন্যই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে এতো বিশৃঙ্খলার মধ্যেও রবীন্দ্রনাথের ভাঙা গানের ওপরে সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সদশ্য ও সদস্যারা এবং তাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করেন তাদের পরিবেশনা । এগারো ও তেরই জুলাই বিগত দিনের বিশৃঙ্খলাকে মাথায় নিয়েই অবনীন্দ্র সভাঘরে হল অঙ্কুরোদগম সাহিত্য সংস্থার কবিতা কল্লোলের স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর । তবু বলতেই হয় এতো কবি এতো কবিতা, যা নিয়ে কবিতা কল্লোল কিন্তু, কবিতা খুঁজে পেতে আতশ কাঁচের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম। অনুভব করলাম না কবিতার প্রতি অনুরাগ। ছন্দবদ্ধ কবিতা নিশ্চয়ই আছে কিন্তু ছন্দের অভাবও অনেক পেলাম। আমার মনে হয় উঠতি কবিদের নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতার ক্লাশটা একটু পড়ে নেওয়া জরুরী। সব মিলিয়ে সার্বিক সুন্দর দিন ও সময় কবিতাকে কেন্দ্র করে কাটলো এ কথা বলাই বাহুল্য।
Sumalya Maitra’s report: At that time Rabindranath said , “Talent is yours and you have Zeno, why don’t you hesitate to catch it” and to accommodate a bunch of new talents, the auspicious occasion on Sunday, July 10, is that of Kavita Kallol, the larger programme of the Germodgam Literary Association. Among the prominent guests present were ruling party MLA Aditi Munshi/ folk singer Swapan Basu/ Head of Dej Publications Sudhanshu Dey/ President of the Publishers and Book Sellers Guild and chairman of Patra Bharati and editor of Kishore Bharati and Editor of Kishore Bharati Magazine Tridib Chattopadhyay. Among the other guests present were writer Chumki Chattopadhyay Kumkum Bhattacharya, Parthasarathi Desikan and Piyali Ganguly. MLA and kirtan singer Aditi Munshi graced the occasion with the light of an electric lamp on the shishir stage. One by one the prominent guests present spoke. There is a combination of words and melodies in everyone’s speech. Members and members from different districts have come from different districts to join this poetry kallol of Muktodagam Literary Association. It was very different from the literary conferences of different times. Members and members of different districts took the event to another height with their performances. At such a big event, sometimes the lack of proper performance has also become big. As a result, members and members of the campus germination had to stop their performances midway. On the first day of the event, an atmosphere of chaos was created on the shishir stage. A heated situation is created. Many of the members present went back on the first day without performing because of this situation. The rest of the time was spent in the poetry of this germination literary organization for three days, dancing to the songs of the poems in the words of the poems. This situation arises because many of the coming districts are taking more time than the stipulated time. However, in the midst of all the chaos, sadshya and members of North 24 Parganas district performed together on the broken songs of Rabindranath and completed their performance within the stipulated time. On July 11th and 13th, keeping in mind the chaos of the past days, Abanindra Sabhaghar was the recital of poems composed by Kavita Kallol of the Germinationgam Literary Association. Still, it has to be said that so many poets are so many poems, about which poetry is called, but I felt the need for glass to find poetry. I didn’t feel the passion for poetry. There must have been rhythmic poetry, but I found a lot of lack of rhythm. I think it is important to read the poetry class of Nirendranath Chakravarty of the budding poets. All in all, it is needless to say that the overall beautiful day and time was spent centered on poetry.