রাজ্যের সমস্ত লাইব্রেরীগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের জন্য দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে


মালদা-করোনা সংক্রমনের জেরে বন্ধ ছিল বিভিন্ন গ্রন্থাগারগুলি । এমনকি ইন্টারনেট পরিষেবা গ্রন্থাকারগুলিতে বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের সমস্ত লাইব্রেরীগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের জন্য দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সোমবার মালদায় প্রশাসনিক বৈঠক এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার এবং গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
এদিন মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলার লাইব্রেরীর পরিকাঠামোগত সমস্যা এবং প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় । তার পাশাপাশি বইমেলার পাঠকদের উৎসাহ প্রদান করার ক্ষেত্রেও এদিন প্রশাসনের সঙ্গে মত বিনিময় করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন, জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র সহ প্রশাসনের কর্তারা । জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে , মালদা জেলায় জনশিক্ষা প্রসার দপ্তরর অন্তর্গত পাঁচটি দৃষ্টিহীন এবং প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও জেলায় মোট ১০৪টি ছোট-বড় গ্রন্থাগার রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আপাতত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে। আগামীতে সেই প্রতিষ্ঠানগুলি দশম অথবা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন গ্রন্থাগারগুলির কি ধরনের পরিকাঠামো ও পরিবেশ রয়েছে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights