বিধানচন্দ্র রায়,সম্পাদক/আরাধনাঃ বীরভূমের দুবরাজপুরের লাল মাটিতে ঐতিহ্যবাহী মামা ভাগ্নে পাহাড়ের সন্নিকটে স্বপন মুখার্জির উদ্যোগে ওঁনার বাসভবনেই অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য আরাধনায় বর্ষবরণ ও সাহিত্য সভা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক বিশিষ্ট কবি বলিষ্ঠ বিশ্লেষক দেবকুমার দত্ত মহাশয়, সম্মাননীয় অতিথি বিশিষ্ট কবি সুনীল কর্মকার ও অনুষ্ঠানের সভাপতি স্বপন মুখার্জিকে-সম্পাদক হিসাবে, আমি বিধান রায় পুষ্পস্তবক ও ব্যাজ দিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করি। তারপর উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন প্রজ্ঞা মুখার্জী, সঙ্গতে চন্দন মুখার্জি,পরবর্তী সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রিয়াঙ্কা দত্ত সংগত দেন ঋজু দত্ত। নৃত্য পরিবেশনায় সুরভি রায় ,প্রাচী মুখার্জি অনুরুষা চ্যাটার্জী।
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও গুণীজন: ড. নীলমাধব নাগ, ড• রবিন ঘোষ, অলোক দাঁ, অজিত চৌধুরী, অভিজিৎ হাজরা, রাজীব পাল, বিশ্বনাথ মুহুরী, সাধন দত্ত, সন্তু কর্মকার, সুজয় মজুমদার, বাচিকশিল্পী: সুতপা ব্যানার্জি, সাহিত্যপ্রেমী সাংবাদিক শম্ভুনাথ সেন, রাজীব পাল, বিশিষ্ট আইনজীবী সাহিত্যানুরাগী তপন সাহানা আরো অনেক বিশিষ্ট কবি ও গুণীজন। এই সমস্ত গুণী মানুষের যোগদানে অনুষ্ঠানটি আলোকময় হয়ে উঠেছিল। উনাদের মূল্যবান বক্তব্য আমাদের প্রাণিত করে। দেব কুমার দত্ত মহাশয়ের হাত দিয়ে প্রকাশ হয় রাঙামাটির সংকলন পারফিউম।
শ্রুতি নাটক-রক্তকরবী’পরিবেশন করেন সেঁজুতির সম্পাদিকা সুমনা চক্রবর্তী এবং অন্যতম সদস্য রিজু দত্ত। অপর এক সদস্য সাহিত্যপ্রেমী মজনু দের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভূমিকায় আমরা আপ্লুত।অ নুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন ভাতৃপ্রতিম দীপক পৈতণ্ডী।আমরা প্রবীনদের সাথে নবীনদের মেলবন্ধন ঘটিয়ে এবং লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা গুলিকে আরো আরো বেশি করে সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের এই সাহিত্যসভা। তাদের কলমে উঠে আসুক মানুষের জীবন যন্ত্রণার কথা, কলম ঝলসে উঠুক অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে। সকলকে আরাধনার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।