গোপাল বিশ্বাস-নদীয়া-দূর্গা পুজো বলতে আমরা সাধারণত পঞ্চমী থেকে দশমী দিনের পুজো অনুষ্ঠানকেই চিনি, বা এ ক’দিন পুজোয় মত্ত থাকি, কিন্তু আসলে মহালয়ার পর দিন থেকেই নবরাত্রি পুজোর মাধ্যমে দেবীর আরাধনা শুরু হয়ে যায়,, যদিও খরচ সহ নানা বিধ নিয়ম কানুন থাকে এই নবরাত্রি পুজোতে, আর সে কারনেই কোন বারোয়ারীতে এই নবরাত্রি পুজো দেখ যায় না, এই নবরাত্রি পুজো সাধারণত বনেদী বাড়ি বা যাদের পরিবারের বংশপরম্পরায় হয়ে আসছে সেখানেই দেখা যায়, যদিও কুমারী পুজো বহু বাড়ি ও বারোয়ারীর পুজোতে আজ চোখে পরে। তেমনই নবদ্বীপ শহরের ফাঁসিতলা এলাকায় রয়েছে ভট্টাচার্য পরিবারের বাড়ি, আর সেখানেই বংশপরম্পরায় আজও নিয়ম মেনেই দেবীর আরাধনা শুরু হয় নবরাত্রির পুজো দিয়ে এর পর ধীরে ধীরে পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী করে দশমীতে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে মাকে বিদায় জানায়, অষ্টমী তে প্রতিবছর আয়োজিত হয় কুমারী পুজো, আর এই ভট্টাচার্য পরিবারের নিয়ম আছে প্রতি বছর নতুন নতুন কুমারী মেয়েদের দেবী রূপে সাজিয়ে করা হয় পুজোর আয়োজন। পরিবারের পুজোর বর্তমানে দায়িত্বে থাকা সজল কর ভট্টাচার্য জানান এটা আমাদের পূর্ব পুরুষের শুরু করা পুজো বর্তমানে আমরা দায়িত্ব নিয়ে করছি, বর্তমানে এটা আমাদের পরিবারের উদ্যোগে পুজো হলেও মায়ের টানে শুধু স্থানীয় নয় ভিন রাজ্য এমনকি বিদেশ থেকেও বহু ভক্ত এই পুজোয় সামিল হতে ছুটে আসে। উল্লেখ থাকে বর্মানে নবদ্বীপ শহরে যে কটা বনেদি বাড়ির পুজো হয় সেখানে কুমারী পুজো হলেও নবরাত্রি পুজো হয়না বললেই চলে।