অখিলভারত হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীকে প্রাণ নাশের হুমকি সহ দুষ্কৃতীদের দ্বারা সাইবার ক্রাইম আক্রমণের মত গভীর ষড়যন্ত্রের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এলো । হিন্দু মহাসভা যাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রকৃত সনাতনী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে না অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্যই এই চক্রান্ত করা হয়েছে বলে অনুমান । সম্প্রতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বিরুদ্ধে সোসিয়াল মিডিয়াতে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এবং তাতে যে তথ্যগুলো দেখানো হয়েছে তারই আসল সত্য বা হার্ডকপি তথ্যপ্রমাণ হিসেবে তুলে ধরলেন তিনি । ওনার বক্তব্য গণতন্ত্রের মহোৎসব লোকসভা নির্বাচনে এত বছর পর হিন্দুমহাসভার যখন দলগত ভাবে অংশগ্রহণ করার মত মহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হয়েছে তখন তাকে যারা বাধা দিতে চাইছে তারা কখনোই হিন্দু মহাসভার প্রকৃত প্রতিনিধি হতে পারেনা । একটি রাজনৈতিক দলের কাজ তো হাডুডু খেলা বা ড্যান্স বাংলা ড্যান্স অনুষ্ঠানে নাচ করা নয় । রাজার গল্পে একই সন্তানকে নিজের দাবী করা মা দুজনের মধ্যে আসল মা যেমন রাজার নির্দেশে সন্তানকে দুই টুকরো করে ভাগ নেওয়ার বদলে সন্তানের দাবী ছেড়ে দিয়ে তার প্রাণ বাঁচানোকে শ্রেয় বলে মনে করে ছিলেন তেমনই আসল হিন্দু মহাসভার সদস্যরা কখনোই চাইবেনা মহাসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণকে আটকাতে । হিন্দু মহাসভার অফিসিয়াল মেইল আইডির পাসওয়ার্ড হ্যাক করে দুষ্কৃতীরা দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন নথি ও তথ্য জাল করে সেই জাল তথ্য সমূহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্বাচন কমিশন, প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি, কলকাতার প্রায় সমস্ত কাউন্সিলর এবং অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের কাছে পাঠানোর মত গুরুতর অভিযোগ করেছেন চন্দ্রচূড় গোস্বামী । শুধু তাই নয় পশ্চিমবঙ্গ সঙ্গীত মেলায় অতিথি শিল্পী হিসেবে ওনার গান গাওয়ার ছবিকে তৃণমূলের মঞ্চে বক্তব্য রাখার প্রমাণ বলে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে তাকেও এক হাত নিয়ে চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন একজন শিল্পী যখন কোথাও গান গাইতে যান তখন তার শিল্পসত্তাকে কলুষিত করে রাজনীতির অপপ্রচার অত্যন্ত অনৈতিক কাজ । আজ সারা ভারতবর্ষ যখন ঘুষের টাকায় চলছে তখন একজন প্রকৃত সৎ সনাতনী জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি যাদবপুর কেন্দ্রে নির্বাচনে লড়ছেন বলেই ওনার বিশ্বাস যোগ্যতা নষ্ট করতে ওনার ওপর এত কদর্য আক্রমণ করা হচ্ছে বলে দাবী করেন তিনি । প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারের সময়টুকু বাদে রাস্তায় দাড়িয়ে চা এবং সরবত বিক্রির টাকা দিয়ে বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথাশ্রমে সাধ্যমত সাহায্য করার পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের মত বড় নির্বাচনের অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করেন চন্দ্রচূড় বাবু । ওনার বিরুদ্ধে মূল চক্রান্তকারী হিসেবে ডক্টর সব্যসাচী ডট নামে সোনারপুর প্রান্তিক আবাসনের জনৈক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী । তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এবং আইনী বিচারের পাশাপাশি জনতার আদালতে বিশ্বাস রাখছেন বলে জানিয়েছেন । লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তথ্য চুরি ও তথ্য বিকৃতির এই বিতর্ক যে বাংলার রাজনীতিকে আরো উত্তপ্ত করে তুললো সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই ।