বাজকুল ও হলদিয়া- গত ২৭ এপ্রিল হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী এরাজ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ২রা মে থেকে ১৫ই জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে অতিরিক্ত গরমের কারণে। এই অপরিকল্পিত ছুটির বিরুদ্ধে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি(BPTA)-র উদ্যোগে PPP মডেলের প্রতিবাদে এবং গরমের অজুহাতে ৪৫ দিনের দীর্ঘ ছুটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে শিক্ষার বেসরকারিকরণের চক্রান্তের প্রতিবাদে জেলাব্যাপী বিক্ষোভ অবস্থান ও প্রচার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে আজ 17/05/22 হলদিয়া এবং বাজকুলে অবস্থান ও বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়। হলদিয়ার বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য নিমাই পটিদার, রুবি সানা গিরি, সুদীপ্ত সাহু, জেলা কমিটির সদস্য তপন দাস, চন্দন দাস, শান্তনু দাস,অনিল প্রামাণিক,প্রলয় পাত্র, মঞ্জুশ্রী সাঁতরা ভূঞ্যা, ছাড়াও সেভ এডুকেশন কমিটির জেলা সম্পাদক শুভেন্দু দাস, মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির অলকেশ বেতাল।বাজকুলে বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি গোকুল মুড়া ও জেলা সম্পাদক সৌমিত্র পট্টনায়েক, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু বিজুলি, অসিত বরণ মন্ডল, গোবিন্দপ্রসাদ দাস,কাজল পাল,পবিত্র মন্ডল, সুবল মাইতি প্রমুখ।
জেলা সম্পাদক সৌমিত্র পট্টনায়েক অভিযোগ করেন “গত দু’বছর লকডাউন এর কারণে বিদ্যালয়ের পড়াশোনা বন্ধ ছিল। বর্তমানে প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন গ্রহণ না করেই সরকার হঠাৎই অপরিকল্পিতভাবে এই ছুটি ঘোষণা করেছে। দাবদাহের কারণে সাময়িক ছুটি ঘোষণা করতে পারত সরকার। এমনিতেই দীর্ঘ লকডাউন এর দরুন পড়াশোনার অবস্থা খুবই খারাপ। দীর্ঘ ব্যবধান খানিকটা কাটিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রথম পার্বিক মূল্যায়ন এর অপেক্ষায় ছিল। সরকার সাময়িক বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা না করে দীর্ঘ ছুটি ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করছি । ” সমিতির জেলা সভাপতি গোকুল মুড়া বলেন “ইতিপূর্বে জেলা সংসদের চেয়ারম্যান এবং ডি আই এর কাছে ডেপুটেশন বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত করা হয়েছে । বর্তমানে চক্র পর্যায়ে ডেপুটেশন চলছে। আগামী দিনে এগরা, কাঁথি, মহিষাদল ,নন্দীগ্রাম ,পাঁশকুড়া, নিমতৌড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের প্রচারসূচি নেওয়া হয়েছে।” অবিলম্বে বিদ্যালয় না খুললে ছাত্র , অভিভাবক ও শিক্ষকদের যুক্ত করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে গোকুল বাবু জানান