গোপাল বিশ্বাস -নদীয়া- স্বচ্ছ ভারত নির্মল বাংলার মতন নির্মল শান্তিপুর গড়ে তুলতে শান্তিপুর পুরসভার বিশেষ তৎপরতা এ বছর। ধর্মপ্রাণ নদীয়ার পূজোর শহর শান্তিপুরে বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। বিশ্বকর্মা পুজো থেকে শুরু এরপর দুর্গাপূজো লক্ষ্মীপুজো কালীপুজো কার্তিক পুজো রাস সরস্বতী গোপাল পুজো পর্যন্ত উৎসবের মরশুম। আর এই উপলক্ষে সাজ সাজ রব গোটা শান্তিপুর জুড়ে। ফ্লেক্স ব্যানার হোডিং গুরুত্বপূর্ণ পথের ওপর ওভার গেট রাস্তা সংলগ্ন বিভিন্ন মেলা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান এসবই লক্ষ্য করা যেত তবে এবছর আর নয়! থাকছে পৌর নিয়ন্ত্রণ। শহরে পথ চলতি মানুষদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সাধারণ মানুষের চলাচলের স্বাধীনতা র কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের যানজট এবং দুর্ঘটনা এড়াতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই পথের পাশে সরকারি বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্থায়ী দোকান সরানো হয়েছে তাই নতুন করে আর যানজট নয়। জনসাধারণ এবং বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে আজ শান্তিপুর পৌরসভা থেকে এক মাইক প্রচার এ বিষয়ে সচেতন করেন শান্তিপুরের ২৪টি ওয়ার্ডেরই বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায়। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ বিহীন এবং বিনা অনুমতিতেই পুজো কমিটিগুলির বিভিন্ন আয়োজন কখনো বিপদজনক কখনো বা অন্যের অসুবিধা জনক বিষয় লক্ষ্য করা যায় তাই এবার যা কিছু করতে হবে তা পৌরসভার কাছে আবেদনের ভিত্তিতে। পৌরসভা খতিয়ে রেখে তবেই দেবে অনুমতি। তবে জগৎ বিখ্যাত ভাঙ্গারাস কিংবা সূত্রাগর অঞ্চলের জগদ্ধাত্রী পুজোয় বহিরাগত জনসমাগম ঘটে শান্তিপুরে আর সেক্ষেত্রে ব্যাপক ভিড় যানজট সৃষ্টি হয়। হয়তো তারই মুক্তি ঘটতে চলেছে এবার। তবে বেশ কিছু পূজা উদ্যোক্তা তাদের নিজস্ব এলাকার মধ্যে ফাঁকা মাঠে মেলা বসিয়ে থাকেন এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন সবটাই হতে পারে অনুমতি ক্রমে। তবে ভাঙার রাসের সময় পুরসভা পরিচালিত রাস্তার দুপাশে দীর্ঘদিন চলা বিভিন্ন মেলা প্রসঙ্গে অবশ্য তিনি স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তবে প্রান্তিক মানুষজন যারা মেলার উপর নির্ভর করে চলেন তাদের কোন অসুবিধা সৃষ্টি হবে না বলেই তিনি জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সম্প্রতি শান্তিপুর থানার উদ্যোগে বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন বলেই জানিয়েছেন আমাদের।
