নদীয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে গঙ্গার জলে পড়ে রয়েছে মৃত গৃহপালিত পশু, ছিঁড়ে খাচ্ছে কাক কুকুর শেয়াল, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার মানুষ


গোপাল বিশ্বাস -ঃনদীয়া-ঃ রাতের অন্ধকারে গৃহপালিত মৃত পশু গঙ্গার জলে ফেলাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার মানুষের। গঙ্গার জলে দীর্ঘসময় ধরে মৃত গৃহপালিত পশু পড়ে থাকার কারণে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ। ঘটনাটি শান্তিপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত স্টিমার ঘাট এলাকায়। জানা যায় সোমবার সকালে এলাকার মানুষ গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে দেখে গঙ্গার ধারেই পড়ে রয়েছে গৃহ পালিত মৃত পশু। দীর্ঘ সময় ধরে গৃহপালিত মৃত পশু পরে থাকার কারণে ছড়াই দুর্গন্ধ, শুধু তাই নয় মৃত গৃহপালিত পশুর দেহটি ছিঁড়ে খাচ্ছে কাক, কুকুর, শেয়াল। এলাকার স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা গঙ্গার জলে ফেলে রেখে যায় মৃত গৃহপালিত পশুটিকে। শুধু আজকে নয়, এর আগেও একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে। একাধিকবার শান্তিপুর পৌরসভা কে মৌখিক ভাবে জানানো সত্ত্বেও কোন কর্ণপাত করেনি শান্তিপুর পৌরসভা। আজ সকাল থেকেই একাধিকবার শান্তিপুর পৌরসভা কে মৃত গৃহপালিত পশুটিকে উদ্ধারের জন্য জানানো হয়, এরপর অতি দুর্গন্ধে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার কারণে গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার বসবাসকারী মানুষের তৎপরতায় অবশেষে গঙ্গাজল থেকে মৃত গৃহপালিত পশুটিকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। জানা যায় বেশ কয়েক ঘণ্টা বাদেই মৃত গৃহপালিত পশুটিকে উদ্ধার করার জন্য শান্তিপুর পৌরসভার কর্মীরা পৌঁছান। কিন্তু অবশেষে দুর্গন্ধের হাত থেকে বাঁচতে স্থানীয়দের উদ্যোগেই উদ্ধার করা হয় ওই মৃত গৃহ পালিত পশুটি। যদিও স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘ সময় ধরে মৃত পশু গঙ্গার জলে পড়ে থাকার কারণে দূষিত হচ্ছে গঙ্গার জল, ছড়াচ্ছে জীবাণু। অন্যদিকে বিভিন্ন পূজার্চনার জন্য এই গঙ্গার জল ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই, আর সেই জল দিয়ে বিভিন্ন দেবদেবীর ভোগ রান্না হয় সেখান থেকেই মানুষের শরীরে আরো জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা। স্থানীয়দের দাবি, এই বিষয়গুলি অবিলম্বে শান্তিপুর পৌরসভার নজরে আনা উচিত, না হলে আগামী দিনে আরো বেশি করে দূষিত হবে গঙ্গার জল।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights