উন্মোচন করা হলো বিশেষ কভার বা খামের। উপস্থিত পোস্ট মাস্টার জেনারেল, কোলকাতা, রিজিন সহ অনেকে।
গোপাল বিশ্বাস-নদীয়া- রবিবার দেশ জুড়ে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো রথ যাত্রা উৎসব ২০২৪। আর এই রথ যাত্রা উৎসবকে স্মরণীয় করতে ও রথ যাত্রা উৎসবকে ভিন্ন ভাবনায় পালনে উদ্যোগি হলো ভারতীয় ডাক বিভাগ। সোমবার ভারতীয় ডাক বিভাগের উদ্যোগে এই রথ যাত্রা উৎসব উপলক্ষে উন্মোচন করা হলো বিশেষ কভার বা খামের। এই হলুদ বর্নের খামের ওপরে রয়েছে কাঠের তৈরী ছোট্ট রথের আকৃতি সাথে জগন্নাথ দেব, ওপর দিকে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি তিন ভাষায় রথ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ। সোমবার সকাল আনুমানিক সারে এগারোটায় নবদ্বীপ প্রাচীন মায়াপুরের শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান মন্দিরে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই খাম উন্মোচন করা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ডাক বিভাগের কোলকাতা রিজিনের পোস্ট মাস্টার জেনারেল, সঞ্জিব রঞ্জন – ছিলেন সুপারিটেন্ডেন্ট কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস, প্রবাল বাগচি সহ নবদ্বীপ পোস্ট অফিসের বিভিন্ন পদাধিকারী ব্যাক্তি ও অসংখ্য পোষ্ট অফিসে কর্মরত কর্মীরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ জন্মস্থান মন্দিরের সেবাইত বিকাশ দাস, সহ একাধিক সাধু সন্তু ও অনেকে। পোস্ট মাস্টার জেনারেল, সঞ্জিব রঞ্জন জানান রথ যাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করেই ভারতী ডাক বিভাগের এহেন উদ্যোগ, পাশাপাশি তিনি আরও জানান সাধু সন্তুদের জায়গা নবদ্বীপ ধাম, এ ছাড়াও প্রভু জগন্নাথ দেবের সাথে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত তাই নবদ্বীপের মহাপ্রভুর জন্মস্থান মন্দিরকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এটি আজ উদ্বোধন হলো, এর পর থেকে সকলেই ডাক বিভাগে এটি পেয়ে যাবেন।
প্রবাল বাগচি-জানান ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফে বিভিন্ন সময়ে তথা বিশেষ বিশেষ তিথিতে বিশেষ কভার বা খাম কখনো ডাক টিকিট উদ্বোধন করা হয়,আর এটি রথ যাত্রা উৎসব উপলক্ষে করা হয়েছে, বা রথ যাত্রাকে উদযাপন করা হলো। নবদ্বীপ জন্মস্থান মন্দির তরফেও ভারতীয় ডাক বিভাগের এহেন উদ্যোকে সাধুবাদ জানানো হয়, পাশাপাশি ভারতীয় ডাক বিভাগ এই সুন্দর অনুষ্ঠানের জন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান মন্দিরকে বেছে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে ডাক বিভাগের আধিকারিকদের কাছে আবেদন করা হয় আগামী দিনে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ছবি বা মূর্তীর ওপরও যেন ভারতীয় ডাক বিভাগ বিশেষ কিছু করে, যাতে দেশের সর্বত্র গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর নাম আরও ছড়িয়ে পরে। সব মিলিয়ে রথ যাত্রা উৎসব এর পরের দিনই ডাক বিভাগের এহেন উদ্যোগ ও তা নবদ্বীপের মহাপ্রভুর জন্মস্থান মন্দির থেকে সূচনা বা উন্মোচন করা এ যেন আরও একবার ধর্মপ্রান মানুষের কাছে প্রভু জগন্নাথ দেবপর সাথে মহাপ্রভুর অঙ্গাঙ্গী যোগসুত্রের প্রমান মিললো তা বলাই বাহুল্য।