মৌনমুখর সংস্থার ৪১ বর্ষপূর্তি উৎসব

e343272a-120f-4e83-bbaf-ee76325b37b4

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সম্প্রতি ১৬ জানুয়ারি শিশির মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো মৌনমুখর সংস্থার ৪১ বর্ষপূর্তি উৎসব। সম্মান জানানো হয় পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের আধিকারিক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নাট্যব্যক্তিত্ব সত্যপ্রিয় সরকার, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগের প্রধান ড: তরুণ প্রধানকে। পরবর্তী পর্বে সাতটি মূকাভিনয় পরিবেশিত হয়। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “কবাডি খেলা”,”জাতিভেদ”,”বৃক্ষ জীবন”,”দুই বিঘা জমি”। কবাডি খেলার মজা সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে শান্তিময় রায়ের একক মূকাভিনয় শৈলীতে। “জাতিভেদ” বিষয়ে আমাদের সমাজে জাতপাতের ভেদাভেদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। এক ব্রাহ্মণ পুরোহিত তথাকথিত নিচু জাতের লোকদের ঘৃণা করতেন কিন্তু বিপদের সময় তাদেরই প্রয়োজন হলো। “বৃক্ষ জীবন” পরিবেশ দূষণ কে নিয়ে। অরণ্যভূমিকে শেষ করে আমরা নিজেরা নিজেদেরই বিপদ ডেকে আনাচ্ছি। অরণ্য কে রক্ষা করে পরিবেশকে মানুষের বাসযোগ্য করার কথা বলা হয়েছে এখানে। আবহ হিসাবে হরবোলাকে ব্যবহার একে অন্য মাত্রা দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা “দুই বিঘা জমিতে” পোষাক পরাতে বৈচিত্র্য আনা হয়। চিরাচরিত পোষাক না পরে ধুতির ব্যাবহার বেশ ভালো। নেপথ্যে কবিতা ছিল না। শুধু আবহসঙ্গীত ব্যবহার করে এটি পরিবেশিত হয়। আলোর ব্যবহার যথাযথ। অভিনয় করেছেন শান্তিময় রায়, বিজন দে, অজয় সাহা, অমিত পাল, গোপাল মাইতি, সূচিত্র চক্রবর্তী, জ্যোতিরিন্দ্র চক্রবর্তী, শ্রীজয়ী রায় নন্দী, অবন্তিকা সাহা। আবহসঙ্গীত কল্যাণ সেন বরাট ,আবির রায় ও শ্রীজয়ী রায় নন্দী। হরবোলা জয়ন্ত দে। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা অদিতি রায় ও সৈকত নন্দী।

About The Author


Verified by MonsterInsights