মালদাঃ হাওড়ার আমতা থানা এলাকার আইএসএফের ছাত্রনেতা আনিশ খান হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । রবিবার মালদায় পুরো নির্বাচনের প্রচার করতে এসে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের নিন্দা এবং আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনা গা শিউরে উঠার মতো বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন সকাল দশটা নাগাদ মালদা শহরের পুরাটুলি এলাকার বিজেপির দলীয় কার্যালয় সংকল্প যাত্রার একটি নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। সেখানেই দলের রাজ্য সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী এবং দক্ষিণ ও উত্তর মালদার দলের সভাপতি সহ অন্যান্যরা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আইএসএফের এক ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। যে ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। যদিও এই আনিস খান যে আদর্শে বিশ্বাস করতেন সেটা আমাদের বিপরীত ধর্মী আদর্শ। তবুও আমরা মনে করি বিরোধী কণ্ঠস্বর হলেই তাকে কিভাবে মিটিয়ে দেওয়া হবে রাজ্য পুলিশের দ্বারা মোটেও ঠিক নয়। এই কাজটি নিন্দনীয়। আমরা চাইছি নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আরো বলেন, মৃত ওই ছাত্র নেতার পরিবার বলছে তাদের বাড়িতে পুলিশের পোষাক পড়ে এক জন গিয়েছিলেন এবং দুইজন সাদা পোষাকে ছিলেন। যারা নিজেদের পুলিশ বলেছেন। এরপর ওই ছাত্রনেতাকে ছাদে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকেই আনিস খানকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। অথচ পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলছেন না তারা পুলিশের লোক নয়। অন্য রাজ্য থেকে এসেছিলেন। উনার জ্ঞাতার্থে বলে রাখি তারা বাংলায় কথা বলছিল। এবং আনিস খান কখন জলসা শুনতে গেছে এবং জলসা থেকে ফিরেছে সমস্ত ডিটেইলস তাদের কাছে ছিল। স্থানীয় লোক এবং স্থানীয় থানা ছাড়া কারও পক্ষে এটা জানা সম্ভব নয়।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পুর নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের যে গোষ্ঠী কোন্দলের রূপ নিয়েছে, তা আগামীতে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। প্রার্থী নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব তৃণমূলের মধ্যে এখন গোষ্ঠী কোন্দলের রূপ নিয়েছে । আগামীতে এই দলের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। অভিনেতা দেব সিবিআই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। দেব যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেস আছে, তাই তাকে সিবিআই এবং ইডি ডাকবে। যদি ভালো জায়গায় থাকতেন মঠ ও মন্দিরে ডাকতো। যেহেতু অসৎ সঙ্গে আছেন। এরকম ঘটনা ঘটবে। তার উচিত সিবিআইকে সাহায্য করা। এদিন পুরো নির্বাচন উপলক্ষে ইংরেজবাজার এবং পুরাতন মালদা পুরসভায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে বিশাল রেলি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।