বলিউডে সদ্য মুক্তি পাওয়া “থামা” ছবিতে মন জুড়ানো গান গেয়ে জনপ্রিয় বালুরঘাটের সৌম্যদীপ

415115f7-0f87-473d-b6b9-18826704dbe8

‎৩১ অক্টোবর,দক্ষিণ দিনাজপুর: কথাই বলে মানুষের সততা, ধৈর্য, চেষ্টা আর একনিষ্ঠ পরিশ্রম ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেয়। আর এবার সেই ভাগ্যের চাকায় ঘুরে সোজা নিজের ছোট শহর থেকে একদম স্বপ্নের পারি দিয়েই মুম্বাইয়ের বলিউডে একটা ফোনেই ভাগ্যের রদবদল। কথা হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাটে সৌম্যদীপ সরকারের, যার মন ছুঁয়ে যাওয়া গান এখন সবার মুখে মুখে এমন কি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঘুরছে। বর্তমানে সৌম্যদীপের গাওয়া এই গানটি নেটিজেনদের কাছে যেমন জনপ্রিয় পাশাপাশি সকলের মুখে মুখে এই গানটি ঘুরছে এবং ট্রেনডিংয়ে রয়েছে সৌম্যদীপ। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক অমর কৌশিকের ছবি “থামা”, ছবিতে অভিনয় করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা, রশ্মিকা মান্দানা, পরেশ রাওয়াল ও নাওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকী। তাদের অভিনীত এই হিন্দি সিনেমার সাথে এবার ওতপ্রোতভাবে নাম জড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাটের নাম এই ছবিতে মন জুড়ানো গান গেয়েছে বালুরঘাটের সৌম্যদীপ সরকার। অমিতাভ ভট্টাচার্যের কথায় ও শচীন-জিগারের সুরে গাওয়া “রেহে না রহে হাম” গান এখন সবার মুখে মুখে ঘুরছে। সৌম্যদীপের এহেনও সাফল্যে গর্বিত সমগ্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসি। বর্তমানে নিজের গানের ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য মুম্বাইতে আছেন। তার সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান- ” একজন প্রতিষ্ঠিত সংগীত শিল্পী হওয়ার লক্ষ্যে লড়াই করছি। সবার আশীর্বাদ ভালোবাসার পরিশ্রম আমার এগিয়ে যাওয়ার চাবিকাঠি”।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

সৌম্যদীপ কলকাতা মুম্বাইয়ের একাধিক গানের রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণ করে। ২০২৪ সালে একটি গানের রিয়েলিটি শোতে দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছলেও বাদ পরে। আর সেটাই ছিল সৌম্যদীপের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। মুম্বাই থেকে নিজের বাড়ি বালুরঘাটে ফিরে আসার সময় ঘটনাচক্রে ঐ রিয়ালিটি শো-এর পরিচালক শচীন-জিগার সৌম্যদীপকে ফোন করে মুম্বাইতে ডেকে নেন আর এরপর তাকে আর পিছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি। স্বপ্ন উড়ানের ডানা মেলে মুম্বাইতে গিয়ে তাদের লেখা সুর ও মিউজিক দেওয়া “থামা”সিনেমায় মন জুড়ানো “রাহে না রাহে হাম” গান রেকর্ড করার সুযোগ পায় সৌম্যদীপ। সৌম্যদীপকে ফোনে এই জার্নির কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান- “বলিউডে নিজে গান গাইতে পেরে আমি ধন্য ও আপ্লুত। সুযোগ পেয়েছি শচীন-জিগার স্যারের জন্য, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। একদম ছোট থেকে শিল্পী হওয়ার ইচ্ছে। নিয়মিত গান চর্চা করি সবার আশীর্বাদ ভালবাসা সাথে আছে একনিষ্ঠভাবে পরিশ্রম করে আরো এগিয়ে যেতে চাই”। গর্বিত সৌম্যদীপের বাবা বিপুল সরকার ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত হয়ে জানান- “ও সঙ্গীত জগতে আরো প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই চাওয়া”। সৌম্যদীপের বাবার চোখে মুখে ছেলের প্রতি গর্ব ও উচ্ছ্বাস তার প্রমাণ দেয় যা সমদ্বীপের মুখে ম্লান হাসি একটা মাইলফলক হয়ে দাঁড়াতে চলেছে সংগীত জগতে আগামী দিনে তা বলাই বাহুল্য।

About The Author


Verified by MonsterInsights