প্রকৃতি ধ্বংস করছে এআই, বাঁচাবে শুধু গ্রিন এআই / AI and the Environment – Promoting a Sustainable Green AI Philosophy


নিজস্ব সংবাদ: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) গোটা দুনিয়াকে শাসন করছে। চ্যাটজিপিটি, ওপেনএআই, জেমিনির মতো নামগুলোর সঙ্গে আস্তে আস্তে পরিচিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। হাজার হাজার কর্মীর কাজ এক নিমেষে নিখুঁতভাবে করে দিচ্ছে এআই। আইটি সেক্টরের কোম্পানিগুলিতে এআই-এর কাজ শুরু হওয়ায় ইতিমধ্যেই কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়ে গিয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, ইকোনমিক্স, স্ট্যাটিসটিক্স, কমার্স, আর্টস, শিল্পকলা সব কলেজেই এআই কোর্স চালু হচ্ছে। এআই স্কিলড কর্মীর চাহিদা বাড়ায় এআই না জানলে অফিসে টিকে থাকা যাবে না, বুঝে গিয়েছে সবাই।বিজ্ঞানের অগ্রগতি হচ্ছে। কর্মসংস্কৃতিতে বিপ্লব ঘটছে। কিন্তু কেউ জানে না এআই পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর? গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, হিমবাহ গলনের পিছনেও রয়েছে এআই! এমনই দুশ্চিন্তার খবর শোনালেন কলকাতার বুকে তৈরি হওয়া এআই স্টার্ট আপ কোম্পানি গ্রিন এআই-এর প্রতিষ্ঠাতা-ডিরেক্টর প্রফেসর প্রসেনজিৎ মজুমদার।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

Red Al বনাম Green Al
বর্তমানে প্রায় সর্বত্র ব্যবহৃত এই ক্ষতিকর এআই-কে বলে Red Al। তাই পরিবেশ সচেতন হয়ে বিদেশে গুটিকয়েক টেকনোলজিস্ট Green Al-এর ব্যবহার আবিষ্কার করেছেন। তবে খবরটা হল, ভারতে এখনও সেভাবে Green Al-এর প্রচলন শুরু হয়নি। কিন্তু কলকাতায় বসে নজির গড়ে ফেলেছেন বাঙালি বিজ্ঞানী প্রসেনজিৎ মজুমদার। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট কলকাতার প্রাক্তনী ও ধীরুভাই আম্বানি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর প্রসেনজিৎ Green Al -ব্যবহার করে একাধিক দূরন্ত এআই টুল তৈরি করেছেন। সমাজে গ্রিন এআই সচেতনতা বাড়ানো ও কলকাতায় এআই স্কিলড ছেলেমেয়েদের জন্য কর্মসংস্থান গড়ে তোলাই আপাতত তাঁর প্রধান লক্ষ্য।

বিশ্ব উষ্ণায়ন, হিমবাহ গলনে দায়ী AI!
প্রসেনজিৎ মজুমদারের বক্তব্য, “রেড এআই-এর জন্য যে ক্লাউড থাকে, তার মেশিন থেকে বিপুল পরিমাণ উচ্চ তাপ ও কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। কিন্তু গ্রিন এআই প্রযুক্তি সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব। আধুনিক সমাজে যে কোনও টেকনোলজি ব্যবহার করতে গেলেই এআই-এর সাহায্য লাগবে। তা বলে স্মার্ট টেকনোলজি যেন আগামিদিনে অভিশাপ হয়ে না দাঁড়ায়। এমনিতেই আমাদের দেশের মানুষ পরিবেশ সচেতন কম। তাই এআই যুগের শুরু থেকে আমরা যদি গ্রিন এআই-এ কাজ না করি তাহলে আরও বেশি তাপপ্রবাহ, অকালবর্ষণ, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান, বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হবে ভারতকে। অনেকেই জানেন না, মাইক্রোসফট কোপাইলট, ওপেনএআই-এর মতো সংস্থা তাদের এআই ক্লাউডের উচ্চ তাপযুক্ত জিপিইউ মেশিনগুলি এখন নিজের দেশে না রেখে সুইডেন, মেরুপ্রদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। গত কয়েক বছরে আন্টার্কটিকায় হু হু করে হিমবাহ গলনের পিছনে এই রেড এআই ক্লাউডগুলিই দায়ী নয়, তার কারণ কে অনুসন্ধান করবে?”

তথাকথিত আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। ব্যয়বহুল এই প্রযুক্তিকে পরিবেশবান্ধব (গ্রিন এআই) ও বাংলাসহ একাধিক আঞ্চলিক ভাষায় স্বল্পখরচে ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে কলকাতার গ্রিন এআই সংস্থা। গ্রিন বনাম রেড এআই নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে উপস্থিত গ্রিন এআই সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর প্রফেসর প্রসেনজিৎ মজুমদার,ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত মিত্র, বিশিষ্ট আইনজীবী বার্জিস দেশাই – সহ বিশিষ্টরা।

নামমাত্র খরচে এই প্রথম বাংলা ভাষায় AI
মিন্টো পার্কে গ্রিন এআই সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের নতুন অফিস উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত মিত্র গর্বের সঙ্গে জানালেন, “এতদিন এদেশে এআই নিয়ে কাজ করতে হলে সবাইকে বেঙ্গালুরু যেতে হত। কিন্তু আমরা গত দেড় বছর ধরে কলকাতায় বসে গ্রিন এআই নিয়ে কাজ করে এক বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছি। এটাই প্রমাণ হল, চাইলেই বাংলায় আমরা এআই ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে পারি। আমাদের স্বপ্ন পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেওয়া এই স্টার্ট আপ কোম্পানিকে গ্লোবাল করে তোলা। বাংলা ও উত্তরপূর্ব ভারতের ছেলমেয়েদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলা।” বর্তমানে যেসব এআই টুলগুলি জনপ্রিয় হয়েছে, সেগুলি সব ক’টিই বিদেশি। তাই এগুলি ব্যবহারের খরচও ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। মূলত ইংরেজি জানা ও অত্যাধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করতে পারে, এমন মানুষই এগুলির দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন। এখানেই সবাইকে চমকে দিয়েছে প্রসেনজিৎ মজুমদার ও তাঁর টিম Green AI। এডু টেক, লিগাল টেক, ভয়েস অ্যান্ড বাইলিঙ্গুয়ালের মতো একগুচ্ছ এআই টুলে বাংলা ভাষাকে দারুণভাবে ট্রেইন করেছে গ্রিন এআই। যার ফলে এবার থেকে নিজের মোবাইল ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে শুধু বাংলায় লিখে বা কথা বলেই এই সব অত্যাধুনিক চ্যাটবট অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারবে প্রান্তিক মানুষ। খরচ নিমিত্তমাত্র।

Own news: Artificial Intelligence (AI) is reshaping industries, professions, and everyday life. From conversational tools to generative systems, AI now performs in minutes what once took thousands of human hours. Academic institutions across India are embedding AI into engineering, law, commerce, arts, and more, making AI literacy a workplace necessity.
Yet, while AI’s potential is celebrated, its environmental and social costs are often overlooked. Training large models demands massive computational power, driving energy use and greenhouse gas emissions. This has sparked the call for “Green AI”, a sustainable approach that promotes energy-efficient, inclusive, and socially responsible AI development.
Red AI vs. Green AI
Much of the AI technology currently deployed in industries can be classified as “Red AI,” characterised by high energy demands and substantial environmental cost. By contrast, “Green AI” seeks to optimise computational efficiency, reduce environmental impact, and make AI more accessible and inclusive. Globally, a small community of technologists has pioneered this approach, yet adoption in India is still emerging.
Leading this movement in India is Professor Prasenjit Majumder, an alumnus of Jadavpur University and University College Dublin, Ireland, who spent approximately a decade at the Indian Statistical Institute as a researcher in AI. Professor Majumder has contributed to multiple AI tools that prioritise sustainability, accessibility, and social good. His current priorities include raising awareness of Green AI, fostering local research talent, and creating meaningful employment opportunities for AI-skilled youth.
AI and Energy Consumption
Professor Majumder highlights that Red AI, powered by large cloud systems, consumes vast energy and emits high levels of carbon dioxide. Green AI, on the other hand, uses methods like model compression, distillation, and Edge AI to cut energy use while maintaining performance. As AI spreads into healthcare, industry, and governance, adopting these sustainable practices is becoming essential.
Kolkata as an Emerging Hub for Green AI
GreenAI Services Pvt. Ltd., headquartered in Kolkata, has taken steps to foster a Green AI-friendly ecosystem. Speaking at recent events held at the company’s Minto Park office, Managing Director Subrata Mitra highlighted Kolkata’s potential as a hub for sustainable AI:
“Kolkata offers abundant technical talent, strong academic institutions, and affordable infrastructure, making it an ideal environment to nurture energy-efficient and socially responsible AI innovation. Our focus is on practical techniques such as model quantisation,

About The Author


Verified by MonsterInsights