পুরসভার কর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সংঘাত চরমে বণিক মহল এবং পুরসভার মধ্যে


সুমিত ঘোষ মালদা: জঞ্জাল সংগ্রহে পুরসভার কর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সংঘাত চরমে বণিক মহল এবং পুরসভার মধ্যে। ইংরেজবাজার পুরসভার এই সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মানতে চাইছেন না ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে কর না দিলে পুরসভার জায়গায় ময়লা ফেলতে দেওয়া হবে না,সাফ বক্তব্য পুরপ্রধানের। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি বণিক মহলের।পাশাপাশি বিরোধীদের বক্তব্য পুরসভা যদি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জঞ্জাল কর নেয় তবে তা মেনে নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রতিটা ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি তার জেরে এই জোড়পূর্ব পৌর নাগরিকদের কাছে জঞ্জাল করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে ইংরেজবাজার পৌরসভা। আগামী দিনে জঞ্জাল কর এর বিরুদ্ধে পৌর নাগরিকদের একসাথে আন্দোলনে নামবে বিজেপি।জঞ্জাল সংগ্রহে ইংরেজবাজার পুরসভার করের সিদ্ধান্ত নিয়ে এই মুহূর্তে তাই তর্জা চরমে। সূত্রের খবর ইংরেজবাজার পুরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য দৈনিক এক টাকা,বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে পাঁচ টাকা এবং হোটেল ও রেস্টুরেন্টের জন্য ২৫ টাকা ধার্য্য হয়েছে।কিন্তু মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের অভিযোগ গত বছর জুন মাসে এই নিয়ে পুরসভা তাদের চিঠি করেছিলম। তারপর তারা পাল্টা চিঠি তে পুরসভা কে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে পুরসভা তাদের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা করেনি। তাদের আরো অভিযোগ এইভাবে কর সংগ্রহ অনৈতিক।যদি কেন্দ্র বা রাজ্যের নির্দেশ থাকে তবে সে ক্ষেত্রে কেন তা শুধু ইংরেজবাজার পুরসভার জন্য হবে।যদিও পুরসভার দাবি শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। শহরের বিভিন্ন বড় রেস্তোরা এবং মল থেকে রাতের অন্ধকারে নোংরা আবর্জনা ফেলে দেওয়া হচ্ছে। নদীর ধারে জমে থাকছে আবর্জনা।আর কেন্দ্রের পঞ্চদশ অর্থবর্ষের টাকার মধ্যে জল এবং জঞ্জাল পরিষ্কারের জন্য যে টাকা দেওয়া হতো তা বন্ধ করা হচ্ছে। তাই আলোচনা করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো তা কার্যকরী হয়নি।মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন,” একেই করোনার পর ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতি খারাপ। তারপর আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আমরা এটা মানছি না। প্রয়োজন হলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবো।”ব্যবসায়ীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ইংরেজবাজার পৌরসভার জঞ্জাল পরের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামবো। দক্ষিণ মালদা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথী ঘোষ জানান জানান সাধারণ মানুষ বস্তিবাসীর কাছ থেকে পুরসভা যদি এই কর নেয়। তবে তা অমানবিক। প্রয়োজনে তখন আন্দোলনে নামবো।”লোকসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের এই ভরাডুবির কারণেই কর নাগরিকদের জঞ্জালের কর চাপি দেওয়া হচ্ছে।। এটা কখনো মেনে নেওয়া হবে না এর বিরুদ্ধে পৌর নাগরিকদের নিয়ে প্রয়োজনে আন্দোলনে নামা হবে। জঞ্জাল কর দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানাচ্ছে পৌর নাগরিকরা ও। পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর দাবী,” এটা সিদ্ধান্ত হয়েছে তবে কার্যকর হয়নি। কিন্তু মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের কথা তো দৈববাণী নয়। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে আমাদেরকেও উদ্যোগ নিতে হবে। আর এটা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত।কেউ কর না দিলে আমরাও তাকে আমাদের জায়গায় ময়লা ফেলতে দেবো না।”শহরকে পরিষ্কার রাখতে হলে জঞ্জালে কর নিতে হবে।

বাইট – ইংরেজ বাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।

বাইট -বিজেপির দক্ষিণ মালদার সভাপতি পার্থসারথী ঘোষ।

বাইট -জয়ন্ত কুন্ডু সভাপতি মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স।

বাইট – পুর নাগরিক,কবিতা বিশ্বাস

বাইট – পুর নাগরিক, প্রিয়াংকা মুখার্জী।

About The Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights