কলমের নিবের ওপর ১ সেন্টিমিটারের দেবী দূর্গা মূর্তী বানিয়ে তাক লাগালেন নবদ্বীপের শিল্পী গৌতম সাহা।


[vc_row][vc_column][vc_video link=”https://youtu.be/m1wmgMs97Fg” align=”center”][vc_column_text]গোপাল বিশ্বাস-নদীয়া-কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়, আর এই কথা অতীতে বিভিন্ন মনিষীদের বক্তব্যতেও মিলেছে, যাকে আবার নীতিকথাও বলে থাকেন অনেকে। কিন্তু বাস্তবেও কি এই কথা প্রযোয্য? বা এই কথার বাস্তবতা বলে কি কিছু হয়,? এই প্রশ্নটাও ঘোরে অনেকের মধ্যে। আর এই কথাটি যে শুধুই কথার কথা নয়, বাস্তবেও এটা সম্ভব তার জীবন্ত উদাহরণ দিলেন নবদ্বীপের এক শিল্পী। নিজের ইচ্ছে শক্তির পর ভর করে ফের একবার ভিন্ন ভাবনায় মাত্র ১ সেন্টিমিটারের দেবী দূর্গার মৃতী তৈরি দেবী দূর্গার প্রতি তার শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন নবদ্বীপের এক অঙ্কন শিক্ষক। নবদ্বীপ শহরের প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা গৌতম সাহা। বয়স যার আনুমানিক ৫৬। পেশায় তিনি একজন অঙ্কন শিক্ষক।জানা যায় তার পিতা ছিলেন আকাশবাণীর গিতিকার ও শিক্ষক, পরিবারে স্ত্রী সন্তান সহ দুই দিদি, তারা আছেন লেখালেখি, সংগীত ও শিক্ষাগতা নিয়ে। এক কথায় শিক্ষা ও শিল্প সত্বায় ঘেরা পরিবার থেকেই উঠে আসা শিক্ষক গৌতম সাহার। জানা যায় গত লকডাউনের সময় থেকে তিনি এই ক্ষুদ্র শিল্প কলা তথা এই সৃষ্টির কাজ শুরু করেন। অতীতে বিভিন্ন সময়ে তিনি কখনো মুগডালের পর, কখনো ধানের ওপর তো কখনো চকের, বা চালের ওপর মাটি রং দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন মা কালী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাপ্রভু সহ বিভিন্ন দেবদেবী ও মনিষীদের মূতী।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আর এবার দেবী দূর্গার প্রতি তার শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের জন্য, গত ২০ দিন ধরে দিন রাত এক করে এবার ফুটিয়ে তুলেছেন একটি পেনের নিবের ওপর ১ সেন্টিমিটারের দেবী দূর্গার মূর্তী, যা তৈরী করতে লেগেছে মাটি, রং। আর তা দিয়েই কার্যত আবারা সকলকে তাক লাগিয়েছেন নবদ্বীপের শিল্পী গৌতম সাহা।আর এবারের তার এই সৃষ্টি দেখতে বাড়িতে হাজির হচ্ছেন অনেকেই। শিল্পী গৌতম সাহা জানান এই কাজ করতে পেরে রীতিমতো আনন্দিত। তিনি আরও বলেন করোনা আবহে কর্মহীন হওয়ার কারণে , মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।তখন এই ক্ষুদ্র শিল্পের ভাবনা। এই শিল্পচর্চা করে মানসিক অবসাদ থেকে অনেকটাই মুক্ত হতে পেরেছেন বলে জানান শিল্পী গৌতম বাবু । পরবর্তীতে আরও এই ধরণের কাজ করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে বলে জানান শিল্পী গৌতম সাহা। পেনের নিবের মধ্যেই কেন এই দেবী দূর্গার মূর্তী? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন একমাত্র শিক্ষার আলোয় আলোকিত সমাজ হলে এই সমাজ মুক্তি পাবে সব অসামাজিক কাজ কর্ম থেকে, এরই সাথে তিনি বলেন লেখেনি তে একটা আলাদা শক্তি আছে, আর বর্তমানে সমাজে যে সকল ঘটনা আমাদের সামনে আসছে, আর এরই সন্ধিক্ষণে ঘটেছে দেবীর আগমন, তাই একদিকে লেখনীর শক্তি আর দেবীর আগমন এই দুইটি বিষয়কেই তুলে ধরার চেষ্টা করছি এই সৃষ্টির মাধ্যমে। মোটের পর ইচ্ছে শক্তি আর নিজের ওপর ভরসা থাকলে যে সকল কাজই করা সম্ভব তা আবার প্রমান দিলেন এই শিল্পী।[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

About The Author


Verified by MonsterInsights