
নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ নদীয়াঃ নবদ্বীপ পৌরসভার অধিনে শিশু শিক্ষা অভিযান দপ্তরে সুপার ভাইজার পদে নিয়োগ হয়েছিল সম্পুর্ন বেনিয়মে, এই অভিযোগ তুলে সরব হলো বিজেপির একাংশ। এদিন বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সদস্য আনন্দ দাস সহ হাতেগোনা গুটি কয়েক কর্মী নিয়ে তারা শহরের সরকার পাড়া SI অফিস ও পৌরসভায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, অভিযোগ কারী আনন্দ দাসের বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরে ঐ পদে বহাল রয়েছে নবদ্বীপ শহরে ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার। ঐ নিয়োগটি হয়েছিল সম্পুর্ন অবৈধ নিয়োগ, অবিলম্বে সেই নিয়োগ বাতিল করতে হবে, পাশাপাশি তিনি আরও জানান ঐ পদে যিনি রয়েছেন তার এতোদিনের প্রাপ্য বেতন ফেরাতে হবে ও তাকে যে বা যারা নিয়োগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে নবদ্বীপের ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিতাই চন্দ্র দাস- বলেন ২০২৪ সালে তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তিনি বলেন সে সময়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছিল এবং সেই নিয়োগের জন্য যা যা নিয়ম বা শর্ত তা মেনেই হয়েছিল, সেই নিয়ম গুলো হলো এই পদে কেবল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকই থাকতে পারবে, এবং সর্বাধিক পাঁচ বছরে জন্য তাকে নিয়োগ থাকতে পারবে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!নিতাই চন্দ্র দাসের সাফাই সে সময় তেমন কাউকে পাওয়া পাওয়া যায় নি বলেই তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল, কারন তিনি ২০২৩ সালে অবসর গ্রহন করেন। সেখানেও উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের স্বজন পোষণ, কারন গোটা নবদ্বীপ শহরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বা শিক্ষিকা কি আর ছিলো না,? তবে কি এই নিয়োগও হয়েছিল বড়সড় দূর্নিতি? যদিও বিজেপির এই কর্মসূচী ঘিরেও উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন, কারন তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, সহ নিয়োগ দূর্নিতির মতো এতো বড় ই্যসুতে আনন্দ দাস আর গুটি কয়েক বিজেপি কর্মী ছাড়া কোন নেতৃত্ব এমনকি কোন মন্ডলের মন্ডল সভাপতিকেও দেখা যায় নি এই কর্মসূচীতে। পাশাপাশি আনন্দ দাস যে লিখত অভিযোগ করেছেন তা দলীয় কোন প্যাডেও নয়। আর এখানেই উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন! বিজেপির জেলা সভাপতি সহ কোন মন্ডল সভাপতির অনুমতি বা তাদের না জানিয়েই এই কর্মসূচী নিয়েছে আনন্দ দাস, নাকি নবদ্বীপেও চলছে বিজেপির চাপা গোষ্ঠী কোন্দল?








