নিজস্ব সংবাদ: নিউটাউনের বাসিন্দা সুমিতা বর্মন ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছেন। গত চার বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন। এখন অনেকটাই ভাল আছেন। একইভাবে ক্যান্সারের শিকার কমলা সাহা চ্যাটার্জি। ক্যান্সারকে হারিয়ে আজ তিনি জয়ী। তাঁদের মত আরও অনেকেই নিজেদের লড়াইয়ের কাহিনীর কথা ভাগ করে নিলেন শনিবার। তাদের মধ্যে কেউ কিডনি, ডিম্বাশয়, কোলন তো কেউ আবার ফুসফুস, জিআই ক্যান্সারের শিকার। ক্যান্সার সারভাইভার মাস উপলক্ষে এদিন নিউটাউনে একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এইচসিজি ক্যান্সার সেণ্টারের উদ্যোগে। ২০–২৫ জন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা সামিল হয়েছিলেন। তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার ডাঃ অমরজিৎ সিং বলেন,‘ক্যান্সার জয়ীদের নিয়ে এই ধরণের অনুষ্ঠান প্রথম করা হল। ক্যান্সারজয়ীদের একটু আনন্দ দিতে পরিবেশ বান্ধব যান ‘হেরিটেজ ক্যাব রাইড’–এ ইকো পার্ক, সিটি সেণ্টার টু সহ নিউটাউনের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়।’ মেডিক্যাল অঙ্কোলজিস্ট ডাঃ শশাঙ্কশেখর দাস বলেন,‘ ক্যান্সার নাম শুনলে রোগীর সঙ্গে বাড়ির সদস্যরাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। আর্থিক মানসিক সব দিক থেকে প্রভাব পড়েন। এখন ক্যান্সারের উন্নত আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে, যে ক্যান্সার নিয়েও ভালভাবে বাঁচা যায়।’ ডাঃ সঞ্চয়ন মণ্ডল বলেন,‘ক্যান্সার এখন যে হারে বাড়ছে তাতে আগামী দিনে মহামারীর আকার ধারণ করতে চলেছে। কোলন, হেড অ্যান্ড নেক, জরায়ুর সঙ্গে গত কয়েক বছরে লিভার, অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলির ক্যান্সার অনেক বেড়ে গেছে। পাশাপাশি অনেক কম বয়সে ধরা পড়ছে। এর পিছনে ধূমপান, স্ট্রেশ, অনিয়মিত জীবন যাপন, খাদ্যাভ্যাস, দূষণ অনেকাংশে দায়ী। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার সনাক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি।’
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!