মনসার “পদ্মামঙ্গল” পুঁথি আবিষ্কার করলেন বালুরঘাট কলেজের বাংলার অধ্যাপক ড. সমিত কুমার সাহা


উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার গোলইসুরা গ্রাম থেকে কবি জগত জিবনের মনসা বিষয়ক একটি খণ্ডিত পুথি আবিষ্কার করলেন বালুরঘাট কলেজের বাংলার অধ্যাপক ড. সমিত কুমার সাহা। এই পুথিকে কেন্দ্র করে তিনি গ্রন্থ লিখেছেন “আবিষ্কৃত মনসার পুথি জগত জিবন বিরচিত পদ্মামঙ্গল”। গ্রন্থটি কলকাতার ৩৬এ, কলেজ রো – র “অন্নপূর্ণা প্রকাশনী” থেকে প্রকাশিত হয়েছে। লেখক ও কবি অধ্যাপক ড. সমিত কুমার সাহা জানিয়েছেন – এই পুথি আবিষ্কারের আনন্দ অপরিসীম। বিশেষত কবি জগত জিবনের মনসা বিষয়ক “পদ্মামঙ্গল” নামে পুথি আবিষ্কার বোধ হয় এই প্রথম। আবিষ্কৃত এই পুথির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেবদেবী কথা, মনসার ক্রোধ, মাহাত্ম্য, চাঁদ সদাগরের দৃঢ় ব্যক্তিত্ব, দিনাজপুরের কৃষিজাত পণ্য ও কুটির শিল্প নিয়ে বাণিজ্য যাত্রা, উচ্চবর্গের চরিত্র, নিম্নবর্গের চরিত্র, সতীদাহের বিরুদ্ধে বেহুলার প্রতিবাদ ও ভাসানযাত্রা অসাধারণভাবে রূপায়িত হয়েছে। পুথিটির মধ্যে দিনাজপুরের নানা বিশেষত্ব রয়েছে। চাঁদ সদাগর ১৪ টি ডিঙিতে দিনাজপুরের বরা ধানের চাল, নারিকেল, হলুদ, আম, জিরা, জাম, পাট, শাড়ি, ধোকরা ইত্যাদি নিয়ে গিয়েছিলেন পাটনের উদ্দেশ্যে। বাণিজ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে যেমন হলুদের বিনিময়ে সোনা, নারিকেলের বিনিময়ে শঙ্খ, ধোকরার বদলে সুবর্ণ কাপড় এনেছিলেন। চারশো বছর আগে কবি জগত জিবন এই পদ্মামঙ্গল কাব্যে দিনাজপুরে ধোকরা ও শাড়ির কথা তুলে ধরেছেন। ধোকরা তৈরীর পীঠস্থান বলা যেতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি থানা, দিনাজপুরের শাড়ির বিবর্তিত রূপে এসেছে গঙ্গারামপুরের তাঁতের শাড়ি। তাই লেখক ও কবি অধ্যাপক ড. সমিত কুমার সাহা তাঁর গ্রন্থে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এই ধোকরা ও গঙ্গারামপুরের তাঁতের শাড়িকে যদি জি.আই ট্যাগ দেওয়া যায় সেই বিষয়টি সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বাইট :- বালুরঘাট কলেজের বাংলার অধ্যাপক ড. সমিত কুমার সাহা।

About The Author


Verified by MonsterInsights