তমলুক (০৮/০৫/২২): আজ তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলএ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা Save এডুকেশন কমিটির পক্ষ থেকে একটি শিক্ষা কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার সর্বাত্মক বেসরকারীকরণের পরিকল্পনাকারী সর্বনাশা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল এবং তা কার্যকরী করার লক্ষ্যে স্কুলস্তরে পি পি পি মডেল ও যখন-তখন দীর্ঘ ছুটি ঘোষণার প্রতিবাদে এই শিক্ষা কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক অধ্যাপক শিক্ষক অভিভাবক শিক্ষানুরাগী এই কর্মসূচিতে সমবেত হন। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ তে শিক্ষাকে ব্যয়বহুল করে কেবলমাত্র গরিব মানুষ নয় দেশের মধ্যবিত্ত মানুষদের কাছ থেকেও শিক্ষাকে কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে বক্তারা জানান। মাধ্যমিক পরীক্ষা তুলে দিয়ে প্রথম কোন সরকারী পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক করার প্রতিবাদে, চার বছরের ডিগ্রী কোর্স চালুর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে, শিক্ষার সর্বস্তরে ব্যাপক অনলাইন এডুকেশন চালু করার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে, 100 বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে এদেশে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিবাদে সহ শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তারা মতামত ব্যক্ত করেন। সমগ্র কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রঘুনাথ দিন্দা। শিক্ষা কনভেনশনের প্রধান বক্তা প্রাক্তন উপাচার্য এবং অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক চন্দ্রশেখর চক্রবর্তী জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ র সর্বনাশা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। এছাড়াও শিক্ষা ও শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব ও সেভ এডুকেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শুখেন্দুশেখর দাস, সতীশ সাউ, আব্দুল মাসুদ, বাপ্পাদিত্য নায়ক, সৌমিত্র পট্টনায়েক প্রমুখ। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আবদুল রহিমকে সভাপতি, শুভেন্দু শেখর দাসকে সম্পাদক ও পূর্ণচন্দ্র সামন্তকে কোষাধ্যক্ষ করে নতুন সেভ এডুকেশন কমিটি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখা গঠিত হয়। অনুষ্ঠান থেকে পশ্চিমবাংলায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, দীর্ঘ গরমের ছুটি বাতিল করে স্কুল খোলা, বেসরকারীকরণ এর পরিকল্পনাকারী পিপিপি মডেল বাতিলের দাবিতে প্রস্তাব গৃহীত হয়। সেই সঙ্গে আগামী দিনে আঞ্চলিক স্তরে কনভেনশনের মধ্য দিয়ে জনবিরোধী জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ র বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!